টেলএন্ডারদের দৃঢ়তায় সিরিজ জিতল কিউইরা
ক্রাইস্টচার্চের সকালটা ছিল ইংল্যান্ডের পক্ষেই। দিনের শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে দিন যত গড়িয়েছে, ততই ম্যাচটা চলে গেছে ইংলিশদের বিপক্ষে। টেলএন্ডারদের মাটি কামড়ানো ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট সমতায় শেষ করে ১-০ ব্যবধানে সিরিজটাও গেছে স্বাগতিকদের পকেটেই।
শেষ দিনে নিউজিল্যান্ডের হাতে ছিল সবকটি উইকেটই। একশ রানের আগে চার উইকেট হারালেও লেজের ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছে ড্র-তেই। দিনশেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান।
আগের দিন ২৩ ওভারে ৪২ রান তুলে মন্থর ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড ইঙ্গিত দিয়েছিল ম্যাচ ড্র করার দিকেই। আজ মঙ্গলবার সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুর ওভারেই টানা দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে চাপটা ছিল স্বাগতিক শিবিরেই। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনকে ফিরতে হয়েছে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ নিয়েই।
৯১ রানে চার উইকেট হারানো কিউই ইনিংসের দায়িত্বটা এরপর চাপে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান টম লাথামের ওপর। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২০ ওভারে মাত্র ৪৪ রান ওঠে নিউজিল্যান্ডের স্কোরকার্ডে। ওয়াটলিং ফিরে গেলেও লাথাম ছাড়েননি হাল।
শেষদিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াইটা চালিয়ে যান ২০৭ বলে ৮৩ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলা লাথাম। ক্যারিয়ারের ১৪তম টেস্ট অর্ধশতকে কলিন গ্র্যান্ডহোমের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রান তুলেছেন মাত্র ২৭, তবে কাটিয়ে দিয়েছেন ১০ ওভার। শতক থেকে ১৭ রান দূরে লাথামের বিদায়ে বাকি রাস্তা পার করার দায়টা ছিল গ্র্যান্ডহোমের ওপরই।
ইশ সোধির সঙ্গে ৫৭ রানের জুটিতে দলের জন্য ড্র করার রাস্তাটা আরো উন্মুক্ত করে সাজঘরের পথ ধরেন গ্র্যান্ডহোম। বাকি পথটা পাড়ি দিতে স্বাগতিকদের ত্রাতা হয়েছিলেন সোধিই।
টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক হাঁকিয়ে ১৬৮ বলে অপরাজিত রয়ে গিয়েছেন ৫৬ রানে। তবে ড্র ম্যাচে আরো একজনের কৃতিত্ব না দিলেই নয়। মাত্র সাত রান করলেও পেসার নিল ওয়েগনার খেলেছেন পুরো ১০৭ বল। যতক্ষণে আউট হয়েছেন, ততক্ষণে ড্র মেনে নিয়েছে দুই দলই।
ইংলিশদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড, মার্ক উড ও জ্যাক লিচ। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট নিয়ে অতিথিদের ধসিয়ে দেয়া টিম সাউদি পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। অন্যদিকে দুই ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন আরেক কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট।