চূড়ায় বসেই আসর শেষ করলেন মাশরাফি
ইনজুরিকে বুড়ো আঙুলে দেখিয়ে নতুন উদ্যমে, নতুন রূপে ফিরে আসাটা নতুন কিছু নয় মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে। আজ বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও(ডিপিএল) রাখলেন সেই প্রমাণ। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগেই উইকেট নেওয়ার তালিকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে। জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক শেষটাও করলেন চূড়ায় বসে থেকেই।
দুই হাঁটুর চোটে পড়ে কতবার যে মাশরাফি ছিটকে গেছেন মাঠের বাইরে, সে হিসেব বোধহয় তিনি নিজেও জানেন না। তবে ফিরেছেন প্রতিবারই। স্পিন-নির্ভর উইকেটগুলোতে ঘরোয়া ক্রিকেটে তেমন কিছুই থাকেনা পেসারদের জন্য। অথচ সেই পিচগুলোতেই কিনা মাশরাফি নিজের আগুনে পোড়ালেন ব্যাটসম্যানদের।
প্লেয়ার্স বাই চয়েজে মাশরাফিকে অবশ্য প্রথমে দলে নিয়েছিল নবাগত শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। পরে আবাহনী লিমিটেড শিবিরে ভিড়িয়ে নেয় ওয়ানডে দলপতিকে। আর নীল-আকাশি জার্সিতে মাঠে নেমেই একের পর এক বিস্ময় উপহার দিয়ে গিয়েছেন ভক্তদের।
বিস্ময় নয়তো কি! সব মিলিয়ে মাঠে নেমেছেন নিয়েছেন ১৬ ম্যাচে। চোট কেড়ে নিয়েছে গতি। তাতে কি, ধার বাড়িয়েছেন মস্তিষ্কে। স্লো-মিডিয়াম বোলিং আর কাটারের ছড়াছড়িতে মাত্র ১৪.৬১ গড়ে তুলে নিয়েছেন ৩৯ উইকেট। ইকোনোমিটা যেন আরও দারুণ, ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৪.৪৭!
জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট কিংবা টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেই মাঠে নামা হয়না মাশরাফির। টেস্টে তবুও একটা সম্ভাবনা আছে তবে বিশ ওভারের ফরম্যাটকে বলে দিয়েছেন বিদায়।
মাঝে বাংলাদেশের ওয়ানডে খেলা না থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে রয়েছেন মাশরাফি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারতের মাঠে অধিনায়ক মাঠে নামার আগে তাই সময় পাচ্ছেন আরো একটু। ভারতের মাটিতে তাই নতুন এক মাশরাফিকেই মাঠে নামার পেছনে ভূমিকা রাখবে ডিপিএলের এই দারুণ ফর্ম ও পরিমিত বিশ্রাম, তেমনটা অনুমেয়ই।