পর্দা নামল অনলাইন ট্রাভেলার্স কার্নিভালের
ভ্রমণ কার না ভালো লাগে? সময় পেলেই মন ছুটতে চায় অজানাকে জানতে ও দেখতে। তাই সবাই বেরিয়ে পরে ভ্রমণে। ভ্রমণকে আরো সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনলাইন ট্রাভেলার্স গ্রুপ। যাদের সাফল্যের কথা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা। এবার তাদের কাজকে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে তুলে ধরতে এগিয়ে এসেছে পর্যটন করপোরেশন।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের উদ্যোগে দু্ই দিনব্যাপী ‘অনলাইন ট্রাভেলার্স কার্নিভাল' শেষ হলো গতকাল বুধবার। ‘আগে দেখি, নিজের দেশ’ প্রতিপাদ্যে মঙ্গলবার ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এ কার্নিভাল শুরু হয়। কার্নিভালে অংশ নিয়েছিল ৩৯ অনলাইন ট্রাভেলার্স গ্রুপ। প্রত্যেকটা গ্রুপ তাদের সেবা ও ভ্রমণের প্যাকেজ সম্পর্কে স্টলে আসা দর্শকদের জানান। নিজেদের তুলে ধরেন ভ্রমন পিপাসু মানুষের কছে।
কথা হয় এ কার্নিভালের আয়োজকদের সাথে। আয়োজকদের মধ্য থেকে রবিউল হাসান খান মনা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তারুণ্যনির্ভর অনলাইন ট্রাভেলারদের দেশের মধ্যে পর্যটন সার্বিক উন্নয়নের জন্য এ কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। ডিজিটাল ট্যুরিজমকে জনপ্রিয় করা, নারীদের ভ্রমণে উদ্বুদ্ধ করা এবং প্রতিটি পর্যটন গন্তব্যে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য।'
‘মাই স্টেপ আউটে’র এডমিন তানভীর মাহমুদ কনক বলেন, ‘আমরা কোনো এজেন্সি না, আমরা একটি গ্রুপ। আমরা ঘুরতে ভালোবাসি, একা ঘোরার থেকে অনেকে এক সাথে ঘোরার মজাই আলাদা, তার জন্য এই গ্রুপ করা। আমি মনে করছি এ ধরনের কার্নিভাল আমাদের সবাইকে একটি প্লাটর্ফমে নিয়ে আসবে।’
‘টিম অব ট্রাভেলার্সে’র এডমিন মীর শাওনূল হক বলেন, ‘ব্যস্ত জীবনে, একটু স্বস্তির জন্য সবাই অল্প সময়ের জন্য হলেও ডানা মেলে উড়তে চায়। আমরা সামাজিক যোগোযোগের মাধ্যমে এই সব মানুষদের একসাথে করে ঘুরে বেড়াই। এ মেলায় এসেছি, দর্শকদের আমাদের ভ্রমণের গল্প শোনাতে। অল্প টাকায় ছুটির দিনগুলোতে কীভাবে আনন্দময় একটা ভ্রমণ করা যায়, ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের তা বোঝাতে।’
দুই দিনব্যাপী অনলাইন ট্রাভেলার্স কার্নিভালের শেষদিনটি জমজমাট হয়ে ওঠে হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ভিড়ে। প্রত্যেক সন্ধ্যায় গ্রুপের সদস্যরা মিলে করেছেন গানের আসর। আগামী বছর আরো বড় পরিসরে এ কার্নিভালের আয়োজনে করবে আয়োজকরা, এমনাটাই প্রত্যাশা ভ্রমণ পিপাসুদের।