ইংরেজি শিখুন
ইংরেজিতে জানি যৌন হয়রানির বিভিন্ন রূপ
শিরোনামটি পড়ে হোঁচট খেয়ে গেলেন? ভাবছেন ‘সহজ ইংরেজি’ জানতে এসে এমন কঠিন একটি Controversial (কোন্ট্রভার্সাল)/বিতর্কিত বিষয় জানতে হবে কেন? আমাদের সমাজে বিষয়টি নিঃসন্দেহে একটি Taboo(ট্যাবু)/নিষিদ্ধ আলোচ্য বিষয়। আপনার সংকোচের উৎস সম্ভবত তাই। তবে জানেন কি, বর্তমানে Sexual Harassment (সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট)/যৌন হয়রানি এমন একটি ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে যে এ থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে জানতেই হবে।
তাই আজ চলুন ইংরেজি শিখার পাশাপাশি সামাজিকভাবে সচেতন হতেও শিখি আমরা। যৌন হয়রানির ভুক্তভোগী যে একমাত্র মেয়েরাই হয় এ ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। খোঁজ নিয়ে দেখলে জানতে পারবেন পুরুষরাও অহরহ এই হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং দিনকে দিনকে এ ধরনের ঘটনার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই দেশে হোক কিংবা দেশের বাইরে, যেকোনো জায়গায় আপনি এ ধরনের ঘটনার শিকার হচ্ছেন কি না, তা চিহ্নিত করতে শিখুন এবং অবশ্যই এর বিরুদ্ধে কথা বলুন এবং প্রতিরোধ করুন। তাহলে চলুন জেনে নিই Different forms of sexual harassment (ডিফারেন্ট ফোর্মস অব সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট)/ যৌন হয়রানির বিভিন্ন রূপ সম্পর্কে।
প্রথমেই বলে নিচ্ছি What is Sexual Harassment (হোয়াট ইজ সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট)/যৌন হয়রানি কী? যেকোনো ধরনের (আনওয়ান্টেড এটেনশন)/অনাকাঙ্ক্ষিত মনযোগ বা আচরণ যা শারীরিকভাবে আপনাকে বিব্রত করে তাই সেক্সুয়াল হ্যারাস্মেন্ট। এবার বলছি এর বিভিন্ন ধরন সম্পর্কে।
Grope (গ্রোপ)/ অনুভব করা :
দেহের যেকোনো অংশে অন্য কারো অপ্রীতিকর এবং অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শকে Groping (গ্রোপিং) বলে। এ ক্ষেত্রে Harasser(হ্যারাসার)/ উত্ত্যক্তকারীর উদ্দেশ্য থাকে মূলত আপনাকে যৌন স্পর্শ করে আনন্দ নেওয়া। কেউ নিজ গোপনাঙ্গ স্পর্শ করে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইলেও তাকে Grope বলে। এটি সবচেয়ে প্রচলিত ধরনের হয়রানি।
Facial Expression (ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন)/ মুখভঙ্গি :
Suggestive (সাজেস্টিভ)/ইঙ্গিতপূর্ণ যেকোনো ধরনের মুখভঙ্গি যেমন-জিভ দিয়ে ঠোঁট স্পর্শ করা বা Giving Inappropriate Looks (গিভিং ইনআপ্রোপ্রিয়েট লুকস্)/এমনভাবে চোখ নাচানো যা বাজে অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত করে- এ সবই যৌন হয়রানির অন্তর্ভুক্ত।
Sexual Drawing (সেক্সুয়াল ড্রয়িং)/ যৌন চিত্র : Caption (ক্যাপশন) পড়েই বোঝা যাচ্ছে এই ধরনের হয়রানি মূলত ছবি বা চিত্রের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে। কেউ যদি কোনো ধরনের কুরুচিপূর্ণ ছবি দেখিয়ে বিরক্ত করার চেষ্টা করে তবে আপনি তার বিরুদ্ধে সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের অভিযোগ করতে পারবেন।
Sexual Favor (সেক্সুয়াল ফেভার)/ যৌন প্রস্তাব :
যৌন সঙ্গমের জন্য সরাসরি প্রস্তাব দেওয়াকে sexual favor বলা হয়। সাধারণত উপরোক্ত আচরণগুলোকে এড়িয়ে গিয়ে আমরা একেই হ্যারাসমেন্টের একমাত্র রূপ বলে মনে করি, যা ঠিক নয়। আপাতদৃষ্টিতে এধরনের প্রস্তাবকে সবচেয়ে কুরুচিপূর্ণ মনে হলেও অন্য আচরণগুলো কোনো অংশে কম ক্ষতিকারক নয়। একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার সম্মতির বাইরে যে কেউ আপনাকে স্পর্শ করতে চাইলেই তা harassment, এবার প্রস্তাবটি অপরিচিত কোনো ব্যক্তির নিকট থেকে আসুক বা আপনার বন্ধুর কাছ থেকে কিংবা আপনার Spouse (স্পাউস)/জীবনসঙ্গীর কাছ থেকেই আসুক না কেন।
Physical Intimidation (ফিজিক্যাল ইন্টিমিডেশন)/ শারীরিক হুমকি :
Personal Space (পারসনাল স্পেস)/ব্যক্তিগত বা শারীরিক দূরত্বকে সম্মান না করে একদম গাঁ ঘেষে দাঁড়ানো বা বসাকে শারীরিক হুমকি হিসেবে ধরা হয়। সাধারণ পরিস্থিতিতে প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত একে অন্যের শরীর থেকে Respectable (রেস্পেক্টেবল)/সম্মানজনক distance (ডিস্ট্যান্স)/দূরুত্ব বজায় রেখে আলাপচারিতা করা । কোনো ব্যক্তি যখন আপনার personal space কে সম্মান না করে গাঁ ঘেষে দাঁড়াতে বা বসতে চেষ্টা করবে তখনি আপনাকে বুঝতে হবে সে আপনাকে ফিজিক্যালি ইন্টিমিডেট করার চেষ্টা করছে এবং আপনি harassment-এর স্বীকার হচ্ছেন।
Cyber Bullying/সাইবার বুলিং :
সাইবার বুলিং শব্দটির মানে হচ্ছে ইন্টেরনেটের মাধ্যমে অর্থাৎ সামাজিক গণমাধ্যমের সাহায্য হয়রানি করা। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের সম্ভবত সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক এটি। বর্তমানে যৌন হয়রানির ঘটনা Cyber Bullying এর মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে চলছে। কেউ যদি আপনাকে আপত্তিকর ছবি, ভিডিও বা ম্যাসেজ প্রেরণ করে তবে দ্রুত তাকে ব্লক করুন এবং যদি অবিরতভাবে আপনাকে বিরক্ত করতে থাকে তবে অবশ্যই তথ্য অধিকার আইনে মামলা করুন।
Sexual Harassment থেকে নিজে সুরক্ষিত থাকুন এবং অপরকেও সুরক্ষিত রাখতে চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন প্রতিরোধ করা যেমন আপনার দায়িত্ব তেমনি এর প্রতিকারে কাজ করাও আপনার কর্তব্য। তাই প্রথমেই পরিচিত হন কোন কোন ধরনের আচরণ যৌন হয়রানির অন্তর্গত এবং যেখানেই এধনের ঘটনা ঘটতে দেখবেন সেখানেই বাধা দিন। আশা করি লেখাটি এক্ষেত্রে আপনাদের সাহায্যে আসবে।