ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্রুত গতির ইন্টারনেট দিতে বিসিসির চুক্তি সই

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি পিক্সাবে থেকে নেওয়া

দেশের আড়াই হাজারেরও বেশি ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, আপগ্রেডেশন, প্রতিস্থাপন, পরিচালনা ও রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের জন্য বেসরকারি অংশীদার প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড ও ফাইবার এট হোম লিমিটেডের সঙ্গে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।

দেশের দুই হাজার ৬০০টি ইউনিয়নের মধ্যে সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড এক হাজার ২৯৩টি ইউনিয়ন ও ফাইবার এট হোম লিমিটেড এক হাজার ৩০৭টি ইউনিয়নে এই কার্যক্রম পরিচালনা করবে। চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান দুটি আগামী ২০ বছর দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে ইন্টারনেট সেবা সার্বক্ষণিক সচল রাখবে।

গতকাল সোমবার (২২ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আরিফ আল ইসলাম ও ফাইবার এট হোম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রফিকুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তি রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু। আর তাঁর অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি পিলার নির্ধারণের পর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে নেটওয়ার্ক স্থাপনে বিটিসিএল সফল না হওয়ায় ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প হাতে নেন।”

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, “তাঁর (জয়) পরামর্শেই একই খরচে এক হাজার ইউনিয়নের পরিবর্তে দুই হাজার ৬০০ ইউনিয়নে এই নেটওয়ার্ক স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের ইন্টারনেট সেবা সুনিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

পলক আরও বলেন, “ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পটি স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলারকেই মজবুত করবে। নদীর তীর ও সমুদ্রবন্দরকে কেন্দ্র করে সভ্যতা গড়ে উঠেছে। এরপর রেল ও বিদ্যুতকে নির্ভর করে গড়ে ওঠে শিল্প। কিন্তু কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ফলে আমরা এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছি। সামনে শতভাগ লেনদেন হবে ক্যাশলেস।”

ইন্টারনেট ছাড়া যথাযথ উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যতীত জীবনযাপন অসম্ভব। টেকসই উন্নয়নে ইনফো সরকার সব ক্ষেত্রেই শতভাগ সফল হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হয়েছে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা। ২০ হাজার কিলোমিটার ফাইবার টানা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা, বিনোদন, চিকিৎসা সেবা ও ব্যবসা চলছে।”