এ সপ্তাহেও চড়া ডিম ও সবজির বাজার

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর বাজারের পুরোনো ছবি।

প্রতিনিয়ত বাজারে বাড়ছে ডিমের দাম। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। অন্যদিক পাড়া মহল্লার দোকানে একই ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আর এই দামকে লাগামহীন বলছেন ক্রেতারা। এছাড়া বাজারে সবজির অভাব নেই। কিন্তু পেঁপে আর মিষ্টি কুমড়া বাদে বাজারে কোনো সবজি নেই যার দাম ৬০ টাকার নিচে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, ধানমন্ডি, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের ঝাঁজ কমলেও কমেনি গাজর ও টমেটোর দাম। টমেটো ১৪০ টাকা ও গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। সবজির বাজারে ক্রেতাদের মুখে অসন্তোষ স্পষ্ট।  বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম বাড়ার স্পষ্ট কারণ জানা নেই। অধিকাংশ সবজির দামই গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এ ছাড়া, সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা লাল ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। আর পাড়া মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একইভাবে দেশি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা ডজন। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা। এ ছাড়া, কোয়েল পাখির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।

এদিকে ঢেড়সের কেজি ৬০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, শশা ৬০ টাকা কেজি, লাউ ৬০, কচুর লতি ৬০ টাকা, ১০ টাকা বাড়তিতে করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা। ৫০০ গ্রাম ওজনের ছোট পাতা কপির পিস ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০, চিচিঙ্গা ৭০, পটল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা। এসব সবজি গত সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে পাওয়া গেছে। তবে শুধু পেঁপেই মিলছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।

অপরদিকে শাকের দামও বেড়েছে। পাট শাকের জোড়া আঁটি ২৫ টাকা, কলমি শাক  জোড়া আঁটি ২০ টাকা, কচুর শাক দুই আঁটি ২০ টাকা, মুলার শাক দুই আঁটি ৩০ টাকা, লাল শাকের জোড়া আঁটি ৩০ টাকা, পুঁই শাক ৪০ টাকা, শাপলা ডাটা ১৫ টাকা। আর ধনিয়া পাতা ১০০ গ্রাম ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় মিলছে। লাউয়ের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। জালি কুমড়া ৪০ টাকা পিস।

কাওরান বাজারের ডিম বিক্রেতা ওসমান বলেন, ‘গত সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে ডিমের সরবরাহ কম ছিল। তাই দাম বেড়েছিল। আমরা খুচরা বাজারে ডিম ১৪৫ টাকা ডজন বিক্রি করছি। এছাড়া, বাজারে হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। আর দেশি মুরগির ডিম ২০০ টাকা ডজন। কোয়েলের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা ডজন। এ ছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।’

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা দরে। ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা। এ ছাড়া লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা কেজি এবং সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ ২০০ টাকা, রুই ২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০ টাকা, শিং মাছ আকার ভেদে ৫০০-৭৫০ টাকা এবং চিংড়ি মাছ ৬০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালের খুচরা বাজারে আটাশ চালের কেজি ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭০-৭৫ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৫৫ টাকা, স্বর্ণ ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি মোটা ডালের কেজি ১১০ টাকা, চিকন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। এ ছাড়া পেঁয়াজের কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা আর আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।