গ্রামীণ অর্থনৈতিক খাতে আরো বেশি বরাদ্দ চায় বিসিআই

Looks like you've blocked notifications!

গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত থেকে অর্থ বরাদ্দ কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)।

দেশের শিল্প খাতের প্রতিনিধিত্বকারী বিসিআইয়ের সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘জাতীয় বাজেটের প্রায় ১১ দশমিক ২ শতাংশ পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, যা এ মুহূর্তে জরুরি নয়।’ তিনি বলেন, বরাদ্দ করা অর্থ গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করে এমন সব প্রণোদনা প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত হলেই বেশি জনকল্যাণমুখী হতো।

করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকে এখন শহর থেকে গ্রামে চলে আসছেন উল্লেখ করে বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘গ্রামীণ বেকারত্ব দূরীকরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এখন বেশি প্রয়োজন। সেদিকে নজর দিয়ে কৃষি ও কুটির শিল্পনির্ভর গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সক্রিয় করার লক্ষ্যে বিশেষ স্কিম নেওয়া যেতে পারে।’

আর্থিক প্রণোদনাসহ করোনা স্বাস্থ্যঝুঁকির সময় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে প্রণোদনা অনেক বেশি গ্রামীণ অর্থনীতিতে রক্ত সঞ্চালন করবে উল্লেখ করে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেতে পারে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।’ জিডিপি প্রবৃদ্ধির ৮.২ শতাংশ হারকে উচ্চাভিলাষী উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি আরো বাস্তবভিত্তিক হওয়া উচিত।

বিসিআইয়ের সভাপতি আরো বলেন, বাজেটের এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বিশাল ঘাটতি পূরণে সরকার ব্যাংক খাত থেকে ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের কথা বলছে। সরকার যদি ব্যাংক খাত থেকে এ পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করে তাহলে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। 

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দকে স্বাগত জানিয়ে বিসিআই সভাপতি বলেন, এ অর্থ ব্যয় ন্যায্যভিত্তিক ও বিচক্ষণতার সঙ্গে হওয়া উচিত। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে বেশি অগ্রাধিকার দিতে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতকে সম্পৃক্ত করে একটি অভিন্ন নীতিমালা করা প্রয়োজন।

বিসিআই সভাপতি বলেন, বাজেটে করোনার সঙ্গে সম্পর্কিত নির্দেশগুলো স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিক হওয়া উচিত যা বাজেটে অনুপস্থিত। তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান এক মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন। শুধু পোশাক শিল্প নয় স্বল্প পুঁজির কলকারখানা সচল রাখা এবং এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক প্রণোদনা ও দক্ষকর্মী সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অতি জরুরি। সে বিষয়ে বাজেটে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকা প্রয়োজন।

বিসিআই সব রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য কর দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং করপোরেট কর ১০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে।