জুলাই-নভেম্বর মাসে রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে : বিজিএমইএ
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেছেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে প্রধান দেশগুলোতে বাংলাদেশের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
বিজিএমইএ পরিচালক বলেন, ‘উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের পোশাক রপ্তানি ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। যা ২০২২-২৩ সালের জুলাই-নভেম্বরে সাত দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৯ দমমিক শূন্য সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।’
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘জার্মানিতে, ইউরোপের বৃহত্তম বাজার যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এক দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ দুই দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্পেন ও ফ্রান্সে রপ্তানিও যথাক্রমে ১৯ দশমিক ১৫ শতাংশ ও ৩৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অন্যান্য দেশ যেমন—ইতালি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনে রপ্তানি যথাক্রমে ৫০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ৪৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও ২২ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে।’
বিজিএমইএ পরিচালক বলেন, ‘অন্যদিকে, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে পোল্যান্ডে রপ্তানি বছরে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ কমেছে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল তিন দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’
মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও কানাডায় আমাদের রপ্তানি আগের অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭১ শতাংশ ও ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি একই সময়ের মধ্যে দুই দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে তিন দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপানে আমাদের রপ্তানি ৫৯৭ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০২২-২৩ সালের জুলাই-নভেম্বর মাসে আগের বছরের তুলনায় ৩৮ দশমিক ১১ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।’
উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য অপ্রথাগত বাজারগুলো হল মালয়েশিয়া ১০০ দশমিক ২১ শতাংশ, মেক্সিকো ৪৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ভারত ৪৮ দশমিক ৭৮ দশমিক, ব্রাজিল ৪৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ৩০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।