তীব্র তাপদাহে এসির বিক্রি বেড়েছে দ্বিগুণ!

Looks like you've blocked notifications!
ফ্রিপিক থেকে নেওয়া প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে গত ছয় দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহ হচ্ছে। ঢাকায় উষ্ণতম দিনগুলোতে ভোগান্তি কমাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বিক্রি দৃশ্যত দ্বিগুণ হয়েছে।

এসিই প্রায় একমাত্র বিকল্প, যা স্বাভাবিক রুটিনে কোনো বিঘ্ন ছাড়াই কিছুটা স্বস্তি দেয়। ঢাকার অনেক ইলেকট্রনিক্সের দোকানে এসি কেনার জন্য গ্রাহকদের চাপ বেড়েছে।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আউটলেটের বিক্রয় অপারেটররা জানান, সাধারণত গ্রীষ্মের মৌসুমে এসির বিক্রি বাড়ে। তবে ইতোমধ্যে এ বছর বিক্রি বৃদ্ধির পরিমাণ অনেকটা বেশি। অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণ, যা অনেকটাই তাদের প্রত্যাশার বাইরে।

বিক্রয় অপারেটররা বলেন, আগে শুধু ধনী পরিবারগুলোই এসি কিনত, কিন্তু এখন সমাজের অনেক বড় অংশ একসময়ের ‘বিলাসবহুল’ বিবেচিত পণ্য কিনছেন।

বিক্রয়কর্মীদের দাবি, তীব্র চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এসি এখন আর বিলাসবহুল পণ্য নয়, বরং নগরবাসীদের জন্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ।

বনানীতে এলজি বাটারফ্লাই আউটলেটের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, ‘গরম সবে শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা যেভাবে ইতোমধ্যে রেকর্ড পরিমাণ অতিক্রম করেছে, তা সহনীয় নয়। এজন্য প্রচুর এসি বিক্রি হচ্ছে। পণ্যটি দোকানে তোলার আগেই বিক্রি হয়ে যায়। এখনও অনেক অর্ডার আছে, কিন্তু শেষ করতে পারছি না।’

অন্যদিকে গরমে এসির দামেও প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। গত বছরের তুলনায় এক টনের এসির দাম ১০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। যেসব বড় আকারের এসি বড় পরিসরে সেবা দিতে পারে, সেগুলোর দাম ব্র্যান্ডভেদে বেড়েছে ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, ওয়ালটনের মতো দেশি কোম্পানিগুলো এসির বাজারে প্রবেশ করলেও এখনও বিদেশি ব্র্যান্ডের আধিপত্য রয়েছে। তাই এসি বিপণন সংস্থাগুলো আমদানি এসির উচ্চমূল্যের জন্য মার্কিন ডলারের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রা বিনিময়ের অবমূল্যায়নকে দায়ী করেছে।