দাম কমাতে মাংস আমদানির অনুমতি দেওয়ার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের 

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই আয়োজিত পণ্যসামগ্রীর মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতিবিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী নেতারা। ছবি : এফবিসিসিআই

ব্রয়লার মুরগি বা মাংসের দাম কমাতে আগামী দু-এক মাসের জন্য মাংস আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এছাড়া রমজান মাসের চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল, চিনি ও পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুত এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান সংগঠনটির নেতারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআই আয়োজিত পণ্যসামগ্রীর মজুত, আমদানি, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতিবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ব্যবসায়ী নেতারা। এতে নিত্যপণ্যের উৎপাদক, সরবরাহকারী, ব্যবসায়ী ও ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির যদি উৎপাদন খরচ বেশি হয়, তাহলে সরকার স্বল্প সময়ের জন্য মাংস আমদানির অনুমতি দিতে পারে। যাতে দাম কমে যায়।’

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ ও খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুত ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তিন লাখ মেট্রিক টনের বেশি চিনি রয়েছে, ভোজ্যতেলও চাহিদার তুলনায় বেশি মজুত আছে। নিত্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতির কোনো শঙ্কা নেই।’ এমন পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘বৈশ্বিক কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়লে ব্যবসায়ীদের কিছু করার থাকে না। তবে, অবৈধভাবে কেউ যেন দাম বৃদ্ধি না করে—আমরাও সে বিষয়টি মনিটারিং করব। কোনো ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দাম বাড়ালে সংশ্লিষ্ট বণিক সমিতিকে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই বণিক সমিতির লাইসেন্স বাতিল করবে। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে সহযোগিতা করা হবে।’

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ভোক্তাদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রয়োজন। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পণ্য কিনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না।’

মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘চিনি ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যেপণ্যের সরবরাহ ঠিক আছে। রোজায় দাম স্থিতিশীল থাকবে।’

এ সময় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নান অভিযোগ করেন, সরকার বিভিন্ন নিত্যপণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার কারণে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না। অবৈধ মুনাফা রোধকল্পে বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করা জরুরি। এর জন্য নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর আহ্বান জানান তিনি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি আমীন হেলালী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।