নিম্নস্তর সিগারেটেই ৭২ শতাংশ বাজার দখল
বর্তমান বাজারে নিম্নস্তর সিগারেটে প্রায় ৭২ শতাংশ বাজার দখল করে আছে, যা বহুজাতিক কোম্পানির দখলে। সিগারেটের এই নিম্নস্তরটিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হলে সরকার বিপুল রাজস্ব আহরণ করতে পারবে বলে মনে করেন তামাক চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রংপুর ধাপে অবস্থিত রায়ান্স হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে তামাকের ন্যায্যমূল্যসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ব্যক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম ফকির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি মজিবর রহমান, ৬ নম্বর জলঢাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামিদুল হক, মিজানুর রহমান মিজান, ফারুক হোসেন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম ফকির বলেন, ‘উত্তর বঙ্গের বিশেষ করে বৃহত্তর রংপুরের বেশির ভাগ মানুষ তামাক চাষের সঙ্গে জড়িত। এখানকার মাটিতে বালির পরিমাণ বেশি হওয়ায় অন্য ফসলের ফলন ভালো হয় না। এজন্য আমরা তামাক চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এই তামাক ব্যবহার হয়ে থাকে বিড়ি শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে। তাই তামাকচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিড়ি শিল্পের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
মাসুম ফকির বলেন, ‘এবারের বাজেটে বিড়ি শিল্পের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
মাসুম আরও বলেন, ‘বর্তমান বাজারে নিম্নস্তর সিগারেটে প্রায় ৭২ শতাংশ বাজার দখল করে আছে, যা বহুজাতিক কোম্পানির দখলে। সিগারেটের এই নিম্নস্তরটিতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হলে সরকার বিপুল রাজস্ব আহরণ করতে পারবে। সেইসঙ্গে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের হাজার হাজার তামাকচাষি ও ব্যবসায়ীদের ব্যবসা এবং জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন সহায়ক হবে।’
এ সময় তামাকের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, তামাক বিক্রয়ের নিশ্চয়তা, গত বাজেটে বিড়ির ওপর বৃদ্ধিকৃত চার টাকা মূল্যস্তর কমানো, বিড়িতে আরোপিত ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর কমানো, বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রাসন থেকে তামাকের সুরক্ষা ও নিম্নস্তরের সিগারেটের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির দাবি করেন।