পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের কারণে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অনিশ্চয়তা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু থাকবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আজ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ১৫ দিনের এই লকডাউন ঘোষণা করে, যা কাল রোববার ভোর ৬টা থেকে কার্যকর হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারতে এবার লকডাউনে স্কুল, কলেজ, সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাস, প্রাইভেট গাড়ি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া ট্রাক চলাচল আগামী ১৫ দিন বন্ধ থাকবে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, কাল রোববার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে আমদানি-রপ্তানি হবে কিনা তা সংশয় রয়েছে।
হারুন উর রশিদ বলেন, আমরা আজ বিকেলে ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছি, লকডাউনে আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়লে পণ্য নষ্ট হয়ে যাবে। এতে ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়বে। এসব পণ্যবাহী ট্রাক যাতে লকডাউনের আওতামুক্ত থাকে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতীয় ট্রাকগুলো আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে বন্দরে প্রবেশের পর জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ট্রাকের চালককেও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। চালকরা যাতে বন্দরের বাইরে যেতে না পারেন, সেজন্য পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষ নজরদারি বাড়িয়েছে। প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে।