পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাস ১০ মে’র মধ্যে পরিশোধের দাবি

Looks like you've blocked notifications!
আগামী ১০ মে’র মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। ছবি : সংগৃহীত

পোশাকশ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস আগামী ১০ মে’র মধ্যে পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন ২০টি শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের (জিএসকেওপি) নেতারা।

গতকাল শুক্রবার জিএসকেওপি’র যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুল ওয়াহেদ ও কামরুল আহসান এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ‘ঈদের যেখানে মাত্র পাঁচ-ছয় দিন বাকি, সেখানে এখনেও ৩০ শতাংশ কারখানা তাদের ঈদ বোনাস দেয়নি এবং ৭৫ শতাংশেরও বেশি কারখানা এখনও এপ্রিল মাসের বেতন পরিশোধ করেনি।’

করোনা মহামারির সময়ে পোশাকশ্রমিকেরা তাঁদের জীবন ঝুঁকিতে রেখে কারখানায় কাজ করে গেছেন। একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- অনেক কারখানাতেই ঈদের আগে বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের কোনো সম্ভাবনা নেই।

তাঁরা আগামী সোমবারের মধ্যে এপ্রিল এবং এক মাসের মূল বেতনসহ ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি জানান। শ্রমিক নেতারা করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের জন্য কমপক্ষে সাত দিনের বিকল্প ছুটি দেওয়ারও দাবি জানান।

শ্রমিক নেতারা বলেন, যেখানে গত মাসে এ খাত থেকে ৩ দশমিক ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে, সেখানে বেশির ভাগ শ্রমিক এখনও জানেন না ঈদ উদযাপনের জন্য তাঁরা বেতন-বোনাস পাবেন কি না।

জিএসকেওপি’র এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০ রাজস্ব বছরে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ২৭.৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং চলতি রাজস্ব বছর ২০২০-২১ এর প্রথম সাত মাসে আয় হয়েছে ১৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জিএসকেওপি নেতারা দাবি করেন, শ্রমিকদের বেতন এবং বোনাস দেওয়ার জন্য কারখানা মালিকেরা প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে আংশিক সুদে ১০ হাজার ৫০০ কোটি  টাকা ঋণ নিয়েছেন। এ ছাড়া শ্রমিদের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার জন্য আরও ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়েছেন তাঁরা।

শ্রমিক নেতারা বলেন, ৪০ বছর ধরে সরকারের পক্ষ থেকে সব সুবিধা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার পরও কারখানাগুলোর শ্রমিকদের কয়েক মাসের বেতন কিংবা ঈদ ভাতা দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই এটা সত্য নয়।