বছরে ৮১ হাজার মেট্রিক টন কন্দাল সবজি রপ্তানি
দেশ থেকে গত অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে ৮১ হাজার মেট্রিক টন কন্দাল জাতীয় সবজি রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গোল আলু ও আলু দিয়ে তৈরি বিভিন্ন চিপস, ফ্লেক্স ও ক্রাকার্সের পাশাপাশি ওল, মুখি কচু, লতি, কচুর শাক ও ডাটা ইত্যাদি। এসব গেছে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় চাষ করা গেলে এই রপ্তানির হার আরও বাড়বে বলে মনে করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এনিয়ে এরই মধ্যে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেছে প্রশিক্ষণ কর্মশালা; চলছে প্রচার-প্রচারণা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে মুখি কচু ৫৮ মেট্রিক টন, ওল কচু ৯৮ মেট্রিক টন, লতি কচু ২২৬ মেট্রিক টন, কচুর শাক ২৫ মেট্রিক টন ও কচু ডাটা ৯ মেট্রিক টন রপ্তানি হয়েছে। সব থেকে বেশি রপ্তানি হয়েছে আলু ও আলুর তৈরি চিপস, ক্রাকার্স।
গত অর্থবছরে আলু রপ্তানি হয়েছে ৮০ হাজার মেট্রিক টন। এ ছাড়া আলুর চিপস ৪৯১ মেট্রিক টন, আলুর ফ্লেক্স ২৯০ মেট্রিক টন, আলুর প্লেট ১০ মেট্রিক টন, আলুর ক্রাকাসর্ ১২৭ মেট্রিক টন রপ্তানি হয়েছে।
সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিদেশে কন্দাল জাতীয় সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সবজি রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কন্দাল ফসল উৎপাদন বাড়াতে আলাদা প্রকল্পও গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আজ যশোরে মানসম্মত উপায়ে রপ্তানিযোগ্য কন্দাল ফসল উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানির ওপর আয়োজিত এক উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে যশোর সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. এখলাস উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক মো. মনজুরুল হক, কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।