বেনাপোল বন্দরে সন্ধ্যার পর পচনশীল পণ্য শুল্কায়ন বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ফলজাতীয় পচনশীল পণ্যের শুল্কায়ন কার্যক্রম সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর বন্ধ করে দিয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি রোধে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, সন্ধ্যার পর পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফলজাতীয় পণ্য আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফলজাতীয় পচনশীল পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। প্রতিদিন এ থেকে সরকারের দুই থেকে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। তবে সম্প্রতি এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের শুল্ক ফাঁকির কারসাজিতে সরকার যেমন হারাচ্ছে রাজস্ব, তেমনি তাদের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।

আমদানিকারক হাজি ইউনুস আলী জানান, ফলজাতীয় পণ্য এর আগে গভীর রাত পর্যন্ত খালাস নিতে পারতাম। তবে বর্তমানে সন্ধ্যার পর পচনশীলজাতীয় ফল খালাস নিতে পারছেন না। এতে তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পণ্য আটকে থেকে গরমের মধ্যে পচে নষ্ট হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন তরফদার জানান, বেনাপোল বন্দরে গতকাল বৃহস্পতিবার ভারত থেকে ১১ ট্রাক ফলজাতীয় পচনশীল পণ্য আমদানি হয়েছে। তবে কাস্টমসে বিধিনিষেধের কারণে সন্ধ্যার পর ব্যবসায়ীরা অনেক পণ্য খালাস নিতে পারেননি।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম জানান, রাজস্ব ফাঁকি রোধে সন্ধ্যার পর ফলজাতীয় পণ্য খালাস আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ ফল ছাড়করণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যবসায়ী অনিয়ম করে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করে থাকে। আমদানিকারকদের কাছে তিন কোটি টাকা বকেয়া রাজস্ব পড়ে রয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় তিনভাগের দুই ভাগ বকেয়া রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।