ছয় বছরের মধ্যে ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন

Looks like you've blocked notifications!

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিস আজ মঙ্গলবার দেশের উভয় শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির মিউচুয়াল ফান্ড ও শেয়ার দর।

এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দুই হাজার ৬৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা গত সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে ২০১০ সালের ১২ জুন ডিএসইতে দুই হাজার ৭১ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতা থাকায় সাধারণ গ্রাহকের মধ্যে বিনিয়োগের আগ্রহ বেড়েছে। বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী আসছেন। তবে সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এনটিভি অনলাইকে বলেন, ‘বাজারে লেনদেন এবং সূচক ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে আছে। এটা যেমন ভালো তবে, এর বিপরীত দিকও আছে। তবে এখন যারা বাজারে বিনিয়োগ করবে, তাদের অনেকটা হিসাব করে বিনিয়োগ করতে হবে। কোনোভাবে গুজবে কান দেওয়া যাবে না। বাজের একটা কুচক্র থাকে, যাদের কাজ হচ্ছে গুজব সৃষ্টি করে শেয়ারের দাম বাড়ানো বা কমানো।’

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৬৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার, যা আগের দিনের তুলনায় ২০৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে এক হাজার ৮৫৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

আজ ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৪টির, কমেছে ৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার দর।

এদিকে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে পাঁচ হাজার ৫৭৫ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৭৬ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৯৮৪ পয়েন্টে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএসপিআই ২৮৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে। 

সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৬টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির।