সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) বাস্তবায়নে গত ছয় বছর অনেক কথা বলা হলেও এ ক্ষেত্রে কার্যত সরকারের তেমন কোনো সাফল্য নেই। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নিজে স্বীকার করেছেন, ‘পদ্ধতিগত প্রস্তুতির দুর্বলতাই’ এ ক্ষেত্রে মূল অন্তরায় ছিল।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চলতি বছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা উল্লেখ করেন।  

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পিপিবি বাস্তবায়নে গত ছয়টি বছরই আমি অনেক বক্তব্য রেখেছি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নে তেমন উল্লেখযোগ্য উদাহরণ নেই। স্বীকার করতেই হবে যে, পদ্ধতিগত প্রস্তুতি আমাদের দুর্বল ছিল।’

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘তবে আশার বিষয় হলো যে, বিনিয়োগকৃত সম্পদ হতে প্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সক্ষমতা বাড়াতে আমরা ইতিমধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বিল ২০১৫ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছি। আশা করছি, এটি শিগগিরই আইনে রূপ নেবে। এর ফলে পিপিপি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর হবে এবং বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বাড়বে।’

এসব উদ্যোগ ছাড়াও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নানা সংস্কার পিপিপি কার্যক্রমের ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘আশার কথা হলো, পিপিপির আওতায় ইতিমধ্যে ৪২টি প্রকল্প নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অন্য দুটি প্রকল্পের চুক্তি শিগগিরই স্বাক্ষরিত হবে। অনুমোদিত ২৪টি প্রকল্পে Transaction Advisor নিয়োগ করা হয়েছে।’