ডব্লিউটিও নীতিতে ট্রানজিট ফি নির্ধারণ : অর্থমন্ত্রী
ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতিমালা অনুযায়ী ট্রানজিট ফি নির্ধারণ করা হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফরকালে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ টায়ার টিউব ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএমইএ) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ডব্লিউটিওর নীতিমালা অনুযায়ী অবকাঠামো ব্যয়ের সঙ্গে ফি যোগ করে ট্রানজিট ফি নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভুটান যাওয়ার রাস্তা ঠিক করতে হবে। সেখানে বিদ্যুতের ট্রান্সমিশন লাইন বসাতে হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যয় আছে। এর সঙ্গে ফি যোগ করা হবে। তবে একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের অবকাঠামোও উন্নত করতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে টায়ার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল প্রাকৃতিক রাবার আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং হালকা যানবাহনে ব্যবহৃত ১৬ ইঞ্চি রিম সাইজের টায়ার আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাকৃতিক রাবার আমদানিতে শুল্কহার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং ১৬ ইঞ্চি রিম সাইজের টায়ার আমদানিতে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। দেশীয় শিল্পের স্বার্থে বাজেট পাসের সময় সম্পূরক শুল্কটা আবার আরোপ করা হবে।