বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুনে ক্ষয়ক্ষতি ৮০ লাখ টাকার

Looks like you've blocked notifications!

বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুন লাগার ঘটনায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা।

আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের জাহাঙ্গির আলম কনফারেন্স হলে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শুভঙ্কর সাহা জানান, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে আগুন লেগে ৮০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ।

শুভঙ্কর সাহা আরো জানান, ফায়ার সার্ভিসের কমিটি যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে তার সঙ্গে আমাদের হিসাব কিছুটা মেলে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডে দাপ্তরিক কোনো নথির ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

আগুনের উৎস হিসেবে ৩০ তলা ভবনের ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের  ব্যাবস্থাপকের (জিএম) কক্ষের একটি বৈদ্যুতিক কেটলির শর্টসার্কিটকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ধারণা করা হয়, জিএমের কক্ষ থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান ফায়ার সার্ভিসের কাজ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক বলেন, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান ও তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে।  প্রথমটি হলো, কার্যালয় বন্ধের পর যেন সব বৈদ্যুতিক সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করা হয়। গতকাল থেকে এই সুপারিশ কার্যকর করা হচ্ছে। আরেক সুপারিশ হলো আধুনিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন এবং কেন্দ্রীয়ভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকে একজন অগ্নি নির্বাপক বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা নিয়োগের সুপারিশ করে ওই অভ্যন্তরীণ কমিটি।

গত ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের ১৪ তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের সহায়তায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহমদ সেই সময় সাংবাদিকদের জানান, ১৪ তলায় বৈদেশিক মুদ্রানীতির মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) কক্ষে আগুনের সূত্রপাত হয়।

এতে কক্ষের ১৫ শতাংশ পুড়ে যায়। চেয়ার-টেবিলের সঙ্গে কিছু কাগজপত্রও পুড়ে যায়। তবে কোন ধরনের কাগজপত্র পুড়েছে, তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। সার্ভারের কোনো ক্ষতি হয়নি।