সংবাদ সম্মেলনে দাবি

চামড়াশিল্পে ১৫ দিনে ক্ষতি ২৬৮৬ কোটি টাকা

Looks like you've blocked notifications!

উৎপাদন বন্ধ থাকায় ট্যানারি শিল্পে ১৫ দিনে দুই হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্যানারি শিল্প মালিকরা।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চামড়াশিল্প রক্ষা ঐক্য পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৮ এপ্রিল হাজারীবাগে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে ১৫৫টি ট্যানারির অনুমোদন দিলেও গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয় মাত্র নয়টিতে। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছে চামড়াশিল্প।

ঐক্য পরিষদের দাবি অনুযায়ী, ১৫ দিনে দুই হাজার ৬৮৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানে ক্ষতি এক হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। রপ্তানিতে ক্ষতির পরিমাণ এক হাজার ১১ কোটি টাকা। এ ছাড়া চামড়াশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ ৪৩৭ কোটি টাকা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।

এ ছাড়া ট্যানারি বন্ধের কারণে ১৫ হাজার কোটি টাকার তাৎক্ষণিক রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়েছে বলেও দাবি করেন নেতারা।

গত ৯ এপ্রিল এক নির্দেশে আদালত ১৫ দিনের মধ্যে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। সেখানে যাওয়া সব কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গতকাল ছিল আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের শেষ দিন। কিন্তু এখন পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয় মাত্র নয়টি কারখানায়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিসিকের অদক্ষতার কারণে চামড়াশিল্প নগরীতে এখন পর্যন্ত সিইটিপি সঠিকভাবে কাজ করছে না। ড্যাম্পিং ইয়ার্ড নির্মাণ হয়নি। এ ছাড়া ক্রোম রিকভারি ইউনিট ও স্লাজ পাওয়ার জেনারেটর সিস্টেম কম্পোনেন্টের নির্মাণকাজ এখনো শুরু হয়নি।

এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, ‘চামড়াশিল্প নগরীতে অবিলম্বে সব কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগসহ নয় দফা দাবি আদায়ে আমরা রাজপথে আছি। প্রয়োজনে আদালতে যাব।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফিনিশ লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, বিটিএর সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।