অর্থবিল-২০১৫ পাস

পোশাক, শিক্ষাসহ ছয় খাতে কর কমবে

Looks like you've blocked notifications!
আবুল মাল আবদুল মুহিত

প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে পোশাক, বেসরকারি উচ্চশিক্ষাসহ ছয়টি খাতে কর কমিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া আমদানি-রপ্তানির আরো কিছু খাতে কর ও শুল্ক কমানো হচ্ছে। আজ সোমবার সংসদে বাজেটের সমাপনী বক্তৃতায় এসব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যের পরপরই অর্থবিল, ২০১৫ পাস হয়। 

urgentPhoto

৪ জুন অর্থবিলটি উত্থাপন করা হয়। বিলে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে শুরু ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য আর্থিক বিধানসম্বলিত কর ও শুল্ক প্রস্তাবের জন্য কতিপয় আইন ও বিধানের সংশোধন করা হয়েছে। তা ছাড়া বিলে উল্লেখিত বিধানগুলো আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর করারও বিধান করা হয়েছে।

অর্থ বিলের কয়েকটি বিষয়ে জনমত যাচাইয়ের সব প্রস্তাবই প্রত্যাখান করলেও ১৪টি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করেন অর্থমন্ত্রী।

সমাপনী বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী পোশাকশিল্প রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৬ শতাংশ, বেসরকারি উচ্চশিক্ষায় শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করার ঘোষণা দেন।  

সংশোধিত অর্থবিলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে করমুক্ত আয় রাখা হয়েছে ১০ লাখের পরিবর্তে ২০ লাখ টাকা। আর ইউনানি ওষুধশিল্পে উৎসে কর প্রত্যাহার এবং ক্যানসার চিকিৎসাসামগ্রী থেকেও শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

সরকারি দলের মো. শাহাব উদ্দিন, শহীদুজ্জামান সরকার, জাতীয় পার্টির এম এ হান্নান, পীর ফজলুর রহমান, বেগম মাহজাবীন মোরশেদ, স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী, নুরুল ইসলাম ওমর ও আবদুল মতিন বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনীর প্রস্তাব আনেন। জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন ও শহীদুজ্জামান সরকারের সংশোধনীগুলো গ্রহণ করা হয়। বাকি সংশোধনী প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অগ্রসরমান অর্থনীতিই নিয়ামক হবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার।