আজ বাজেট পেশ

ভ্যাটের হার কমবে না, দাম বাড়ার সুযোগ নেই : অর্থমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
বাজেট নিয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি : এনটিভি

২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট এবং চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পেশ করবেন। 

বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, আজ দুপুর দেড়টায় বাজেট বক্তৃতা শুরু করবেন অর্থমন্ত্রী। এটি হবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট। অন্যদিকে ২০০৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত এটা হবে আওয়ামী লীগ সরকারের নবম বাজেট। 

এবারের রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ আসবে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে। আগামী বাজেটে কার্যকর হতে যাচ্ছে নতুন ভ্যাট আইন। বহুল আলোচিত এই আইনে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশই নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে ৮৭ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের মূল লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১৫ হাজার ১২৩ কোটি টাকা বেশি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ থেকে হয়তো কমাব না।’ তিনি আরো বলেন, ‘এতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। আমার কোনো বাজেটের প্রতিবাদ হয়নি।  বিএনপির প্রতিবাদ হয়েছে সব সময়। এবারের বাজেটে আরো কম প্রতিবাদ হবে।’ 

বিশাল এই বাজেটের ব্যয় সংস্থানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকা। ৭ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে এবারের বাজেটকে অর্থমন্ত্রী মুহিত তাঁর সেরা বাজেট হিসেবে অভিহিত করেছেন। 

পরপর দুই মেয়াদে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রায় এক দশক ধরে দেশের অর্থনীতির মূল পরিকল্পনাকারী। অর্থমন্ত্রী মুহিতের মতে, এই দীর্ঘ সময়ে তাঁর সরকারের বড় সাফল্য হচ্ছে বাজেটের আকার বৃদ্ধি। 

আয়করের ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন আসছে এবারের বাজেটে। করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য অপরিবর্তিত সীমা নির্ধারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বাজেটে।

এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী করপোরেট ট্যাক্স পরিবর্তনের কথা বলে এলেও শেষমুহূর্তে করপোরেট ট্যাক্স কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন মুহিত। ঋণ ও আমানতের ওপর আবগারি শুল্কও দ্বিগুণ করার প্রস্তাব থাকছে এবারের বাজেটে। 

চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৩৮ দশমিক ৫১ শতাংশ বৃদ্ধি করে আগামী অর্থবছরের জন্য উন্নয়ন বাজেটের আকার ধরা হয়েছে এক লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। বাজেট বাস্তবায়নের হার আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। তবে এবার বাজেটের ভর্তুকির পরিমাণ কমছে। ভর্তুকি, প্রণোদনা এবং ঋণ পরিশোধে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২৭ হাজার কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বরাদ্দের দিক দিয়ে মানবসম্পদ সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাবে না। পরিবহন ও জ্বালানিতে চলে যাবে বেশি সম্পদ।’ 

এবারের বাজেটের ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।