বাজেটে ইসির জন্য বরাদ্দ ১ হাজার ৭১ কোটি টাকা
নতুন অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য এক হাজার ৭১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক এ সংস্থার জন্য বরাদ্দ এক হাজার ৭১ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ২২০ কোটি টাকা কম।
রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের বছরে এ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হলো। ছয় সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচন এবং সংসদ ও স্থানীয় সরকারের নানা উপনির্বাচন ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
নতুন অর্থবছরে উন্নয়ন খাতের বরাদ্দের অর্থ দিয়ে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ, জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন, বিভিন্ন স্থানীয় সরকারের সাধারণ ও উপনির্বাচন, উন্নত মানের (স্মার্ট) জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই অব্যাহত রাখা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন কার্যক্রম করতে হবে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে নতুন অর্থবছরে আপাতত বরাদ্দ রাখা হয়নি।
গত অর্থবছরে ডেটাবেইস সংরক্ষণে সার্ভার স্টেশন ভবন নির্মাণ, ইসি ভবন ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবন নির্মাণের ব্যয় থাকায় বরাদ্দও বেশি ছিল। এ অর্থবছরে নতুন নির্বাচন ভবন ও ইটিআই ভবনের কাজ শেষ হয়েছে।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য বরাদ্দ ছিল এক হাজার ২৯০ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৮০১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে ইসির জন্য বরাদ্দ ছিল ১৪৯৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। ওই অর্থবছরেই তৃণমূলের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার ভোট আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে ইসির বরাদ্দ ছিল ৮৪৯ কোটি ২৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময়ে বাজেট বরাদ্দ থাকবে বিগত সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।