দেশের বাজারে টিনজাত মিষ্টি আনছে ‘মিঠাই’
দেশের বাজারে আসছে টিনজাত মিষ্টি। মিষ্টির ব্র্যান্ড ‘মিঠাই’ বাজারে আনছে এই ধরনের মিষ্টি। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে খাওয়ার উপযোগী এ মিষ্টি ক্রেতারা ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন।
টিনজাত মিষ্টির পাশাপাশি ভিন্ন স্বাদের আরো ১০ ধরনের মিষ্টিও বাজারে আনছে মিষ্টির এই চেইন শপ।
জুলাইয়ের শেষ নাগাদ রসগোল্লা ও গুলাব জামুন নামে দুই প্রকারের টিনজাত মিষ্টি মিঠাই শোরুম থেকে ক্রেতারা কিনতে পারবেন বলে জানান বঙ্গ বেকারস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার অনিমেষ সাহা। রেফ্রিজারেটরে কিংবা ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত এই মিষ্টি সংরক্ষণ করতে পারবেন। আগামীতে মিঠাই ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার উপযোগী মিষ্টি আনবে বলেও জানান তিনি।
অনিমেষ সাহা আরো বলেন, বর্তমানে ৩৩ ধরনের মিষ্টি বিক্রি করছে মিঠাই। এর মধ্যে রয়েছে চমচম, কালোজাম, লালমোহন, রসগোল্লা, কাচাগোল্লা, কাঁচা সন্দেশ, ক্ষীর টোস্ট, মালাইকারি, লাড্ডু, হালুয়া, বরফি, আমৃত্তি। কিছুদিনের মধ্যেই যোগ হবে জাফরান ভোগ, মিল্ক পার্সিয়া, বাকলাভা ও তার্কিশ ডিলাইটসহ আরো কয়েক ধরনের মিষ্টি।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণনবিষয়ক পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল জানান, ভোক্তারা যেন খুব সহজেই কম খরচে মানসম্মত মিষ্টি কিনতে পারেন সে জন্য রাজধানীসহ সারা দেশে মিঠাই-এর শোরুম চালু করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজধানীতে ২০টি শোরুম রয়েছে এবং ২০১৮ সাল নাগাদ সেটি সারা দেশে শতাধিক করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে নির্মিত শোরুমগুলো আরো প্রশস্ত করা হচ্ছে যাতে ক্রেতারা এখানে বসেই বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির স্বাদ নিতে পারেন। তিনি জানান, মিঠাইয়ে হোম ডেলিভারি ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মিষ্টি সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে।
এ ছাড়া শিগগিরই মিষ্টি রপ্তানি করা হবে এবং প্রাথমিকভাবে কানাডাতে টিনজাত মিষ্টি রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান কামরুজ্জামান কামাল।
সুলভমূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত মিষ্টি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাদে ‘স্বাদে ঐতিহ্য’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রাণ গ্রুপের মিষ্টির চেইন শপ মিঠাই।