সিঙ্গার পণ্যের বিক্রি বেড়েছে
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড আজ ২০১৭ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত ফলাফল ঘোষণা করেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিক্রি বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন টাকায় উন্নীত হয়েছে অর্থাৎ বৃদ্ধির হার ২৬ শতাংশ।
এ অর্জন সম্ভব হয়েছে স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ, নতুন বিপণন উদ্যোগ এবং অনেক নতুন পণ্যের সমারোহের মাধ্যমে। সিঙ্গার বাংলাদেশের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকের গ্রস মার্জিন ছিল ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ যা বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা কম। কারণ সুদবিহীন স্বল্প মেয়াদে বাকিতে পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ক্রেতাসাধারণের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
সিঙ্গার যথারীতি পরিচালন ব্যয় নিয়ন্ত্রণে দ্বিতীয় প্রান্তিকেও কাজ করছে এবং ফলশ্রুতিতে বিজ্ঞাপন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও পরিচালন ব্যয় বিগত বছরের সমান অর্থাৎ বিক্রির ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ ছিল। কর-পরবর্তী মুনাফা বৃদ্ধি পেয়ে ২৪৮ দশমিক ২ মিলিয়ন টাকায় উন্নীত হয়েছে অর্থাৎ ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং সমহারে শেয়ারপ্রতি আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে অধিক সংখ্যক রেফ্রিজারেটর বিক্রির লক্ষ্যে সিঙ্গারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপ্লায়েন্সেস লিমিটেড উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে।
সিঙ্গার আর্থিক সেবা সংক্রান্ত কার্যাবলি যেমন ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, বিকাশ, গ্রামীণ এয়ারটাইম রিলোড এবং ইউটিলিটি বিল প্রদান কার্যক্রম মূল্যের দিক থেকে ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে পাঁচ লাখেরও অধিক গ্রাহকের পদচারণে তাদের বিক্রয়কেন্দ্রগুলো মুখরিত হয়েছে।
অর্ধবার্ষিক ফলাফল ২০১৭-এর ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে সিঙ্গার বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান গ্যাভিন ওয়াকার উল্লেখ করেন যে, ইউনিট হিসেবে পণ্যের বিক্রয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত প্যানেল টেলিভিশন ৪৯ শতাংশ, ওয়াশিং মেশিন ৪৭ শতাংশ, রেফ্রিজারেটর ৪২ শতাংশ, ফার্নিচার ৪০ শতাংশ এবং এয়ারকন্ডিশনার বিক্রয় ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।