হরতাল-অবরোধে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে পণ্যজট
লাগাতার অবরোধ-হরতালে ট্রাকের অভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। এতে বন্দরে লক্ষাধিক টন ইউরিয়া সারসহ বিভিন্ন পণ্য আটকা পড়েছে। বন্দরে স্থান সংকটে মালবাহী অন্য নৌযানও ভিড়তে পারছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিদিন শত শত নৌযান লাখ লাখ টন পণ্য নিয়ে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করে। প্রতিদিন পাঁচ শতাধিক ট্রাক এ বন্দরের পণ্য খালাস করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নির্দিষ্ট পরিবেশকদের কাছে পৌঁছে দেয়। কিন্তু বন্দর থেকে রওনা হওয়া বেশ কয়েকটি যানবাহন হামলার শিকার হওয়ায় পণ্য পরিবহন বন্ধ গেছে। এতে নৌবন্দরের কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে।
ট্রাকচালক মো. রুমান বলেন, ‘আমরা সার ও পণ্য নিয়ে আশুগঞ্জ থেকে রওনা হওয়ার পর আতঙ্কে থাকি। এখন পর্যন্ত এ অঞ্চলে ১৫-২০টি গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে অবরোধ-হরতাল সমর্থকরা।’
জেলা ট্রাকমালিক সমিতির সভাপতি হাজী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘টানা অবরোধের কারণে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে ট্রাকে করে পণ্য পরিবহন করা যাচ্ছে না। ট্রাক রাস্তায় গেলেই হরতাল-অবরোধকারীদের হামলার শিকার হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা আশা করছি।’
আটকে পড়া ইউরিয়া সার দ্রুত সরবরাহ না করলে চলতি মৌসুমে সংকটের আশঙ্কা করছেন সার পরিবেশকরা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, অব্যাহত হরতাল ও অবরোধে পণ্যবোঝাই নৌযান ও ট্রাক আটকা পড়েছে। আর পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা।
পণ্যজটের ব্যাপারে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. শাহ আলম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আশুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সন্দ্বীপ কুমার সিংহ বলেন, নির্বিঘ্নে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে নিরাপত্তা চেয়েছে পরিবহন সমিতি। তাদের আবেদনের পর বিষয়টি নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। পণ্য পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে।