‘ধুঁকতে’ থাকা বাংলাদেশ রেলওয়েকে বাঁচাতে এডিবির অর্থায়ন

Looks like you've blocked notifications!

দুর্দশায় ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ রেলওয়েতে বেশ বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করতে সম্মত হয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এই অর্থ দিয়ে লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন), ওয়াগনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবাকে আরো উন্নত করার মাধ্যমে একে দেশের জনপ্রিয়তম গণপরিবহনে পরিণত করতে ম্যানিলা ভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থা এডিবি মোট ২৭ দশমিক ৪০ বিলিয়ন টাকা (২ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

একটি ‘আমব্রেলা’ প্রকল্পের অধীনে এই টাকা দেবে সংস্থাটি।

সিনহুয়ার ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বরাত দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ের এক কর্মকর্তা পত্রিকাটিকে জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে এই মুহূর্তে লোকোমোটিভ বা ইঞ্জিন, ভ্যান এবং ওয়াগনের কমতি রয়েছে। যার কারণে সারাদেশে প্রয়োজনমতো যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হয় না।

সূত্রটির বরাত দিয়ে সিনহুয়া আরো জানিয়েছে, গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে বাংলাদেশ সরকার রেলওয়ের উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। তবে এখনো এর অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন নেই।

বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, এডিবি তাদের বৃহত্তম সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই রেলসেবার উন্নতি হবে। 

ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে দুটি লাইন স্থাপন এবং দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের ঘুনধুম পথে মালামাল পরিবহনের জন্য নতুন লাইন স্থাপন করা হবে। সেই সঙ্গে রেলওয়ের অবকাঠামো উন্নয়নেও অর্থায়ন করবে এডিবি।

এ লক্ষ্যে এরইমধ্যে ৩৬.৪৬ বিলিয়ন টাকার একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। 

এ ছাড়া ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ওয়ার্কশপ, ডেমু ওয়ার্কশপ এবং কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ ওয়ার্কশপেরও এডিবির এই প্রকল্পের আওতায় উন্নয়ন করা হবে। রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ২০২১ সালে জুন মাস নাগাদ প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।