‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’

ভাষা পারদর্শিতায় হবে বাংলার নবজাগরণ

Looks like you've blocked notifications!
তরুণদের মাঝে মাতৃভাষা বাংলার উন্নয়ন ও জাগরণে আয়োজন করা হয় ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ প্রতিযোগিতা। ছবি : বিজ্ঞপ্তি

‘বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র’, সুনির্মল বসুর কবিতার এই লাইনটির সঙ্গে ছেলেবেলা থেকেই আমরা কমবেশি পরিচিত। সারাবিশ্বকে পাঠশালা ধরে নিয়ে জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে আমাদের পরিচিত বিভিন্ন জাতি-সংস্কৃতির সঙ্গে। জেনে নিতে হয় তাঁদের ভাষা। আর এ ক্ষেত্রে প্রথমেই প্রয়োজন মাতৃভাষার ভিত শক্ত করা। কারণ নিজ ভাষার শেকড় শক্ত হলেই, কেবল অন্য ভাষার মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ সম্ভব। 

বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাংলা ভাষা শিক্ষা ও চর্চার এ প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেই এগিয়ে এসেছে ইস্পাহানি গ্রুপ। ‘বাংলায় জাগো ভরপুর’ স্লোগান নিয়ে শুরু হয়েছে ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’। নতুন প্রজন্মকে বাংলায় শুদ্ধ বানান ও ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং ভুল ও অপপ্রয়োগের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করা, সর্বোপরি বাংলা ভাষার নবজাগরণ সৃষ্টি করার উদ্দেশেই ইস্পাহানির এই উদ্যোগ।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ দর্শকমহল ও গণমাধ্যমে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে চাকরিজীবী সবাই ছিলেন এই আয়োজনের নিয়মিত দর্শক। তরুণদের মাঝে মাতৃভাষা বাংলার উন্নয়ন ও জাগরণে এই আয়োজনের জন্য উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই।

সাতটি বিভাগীয় শহরে বাছাইপর্বের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ অনুষ্ঠানটির প্রথম ধাপ। দেশের সব বাংলা, ইংরেজি ও মাদ্রাসা কারিকুলামের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির (ইংরেজি মাধ্যমের স্ট্যান্ডার্ড সিক্স থেকে ও-লেভেল) ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয় প্রথম ধাপে। 

৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে নির্বাচিত করা হয় ৮০ জনকে। তাঁদের নিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ধাপ। সাহিত্য ও ব্যাকরণভিত্তিক প্রশ্ন, মজার বাগধারা, ছবির ধাঁধা, বাজানো পর্ব, উপস্থিত বক্তৃতা, সৃজনশীল লেখনী, সমসাময়িক ছবির ভুলসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ নানা প্রতিযোগিতা নিয়ে সাজানো প্রতিযোগিতার ‘স্টুডিও রাউন্ড’ শেষ হয়েছে এর মধ্যেই। এখন অপেক্ষা চূড়ান্ত পর্বের। 
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে চ্যানেল আইয়ের পর্দায় প্রচারিত হবে অনুষ্ঠানটির চূড়ান্ত পর্ব। বাংলা ভাষার জ্ঞান, মেধা ও মননশক্তির বিচারে এ বছর ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ পুরস্কার হিসেবে পাবে ১০ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। দ্বিতীয় ও তৃতীয়  পুরস্কার হিসেবে থাকছে যথাক্রমে তিন লাখ ও দুই লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। এ ছাড়া শীর্ষ দশজনের প্রত্যেকেই পাবে ল্যাপটপ, বইয়ের আলমারি ও বইসহ মোট ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের পুরস্কার। 

ইস্পাহানির বিশ্বাস ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ প্রতিযোগিতাটির ধারাবাহিক আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আরো সমৃদ্ধ। মেধা ও মননে ভরপুর একটি দেশ। দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকরা ধার করা সংস্কৃতি নয়, বরং নিজেদের সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেবে বিশ্বময়।