অর্থনৈতিক উন্নয়নে পুঁজিবাজারের আরো বিকাশ জরুরি

Looks like you've blocked notifications!
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি : সংগৃহীত

একটি বিপর্যয়ের পর শেয়ারবাজারের প্রতি মানুষের আস্থা আবার ফিরে এসেছে। একটি ধ্বংস স্তুপ থেকে বাজারে স্থিতিশীলতা আসছে। তবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পুঁজিবাজারের আরো বিকাশ জরুরি। এক্ষেত্রে বাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব পক্ষকে সহযোগিতা করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং শেয়ারবাজারের প্রতিবেদকদের সংগঠন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান ও সিএমজেএফের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের পুঁজিবাজারের উন্নতি ও গতিশীল করতে সরকার আরো সহায়তা দিতে প্রস্তুত। দেশের অনেক আইন আছে,যা চলার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এগুলোকে সরিয়ে ফেলা উচিত। কিন্ত পরিবর্তন করতে গেলেও বাধা আসে। শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রেও এ ধরনের সমস্যা রয়েছে।

এম এ মান্নান বলেন, বাজারের জন্য যদি কোনো আইনী সহায়তা প্রয়োজন হয়, সেটিও করবে সরকার। বাজার বিকাশে কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেগুলোও দূর করা হবে। এ সময়ে পুঁজিবাজারের উন্নতির জন্য আর্থিক জ্ঞানের ওপর জোর দেন তিনি।

বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বলেন, বাংলাদেশে পুঁজি বাজারের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দুই একটি দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে দেশ। এর মধ্যে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে মোট লেনদেনের মাত্র পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ বিদেশিদের। ভারতে এই লেনদেন ৪০ শতাংশের ওপরে।

ড. খায়রুল বলেন, ডিমিউচুয়ালাইজেশনের শর্ত অনুসারে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের ২৫ শতাংশ শেয়ার কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের দিতে হবে। এখানে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এই শেয়ার দেওয়া হলে তিন ধরনের সুবিধা। প্রথমত তাদের আর্থিক সক্ষমতা বেশি, দ্বিতীয়ত তারা উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে আসে এবং সবশেষে তাদের সুশাসনের চর্চা আমাদের চেয়ে উন্নত। 

বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, একজন ভাল বিনিয়োগকারী কোম্পানির বিভিন্ন তথ্য অ্যানালাইসিস করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। তারা গুজবে কান দেয় না। ফলে বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণ জরুরি। বিনিয়োগকারীরা প্রশিক্ষিত হলে বাজারে গুজব কমে আসে।