নিরাপদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য কিছু পরামর্শ
যাত্রা শুরুর মাত্র ছয় বছরের মধ্যেই দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। দ্রুত, সহজ ও নিরাপদ হওয়াই এই সেবার জনপ্রিয়তার কারণ।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে বাংলাদেশে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ওয়ালেটে টাকা লেনদেন, এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউট করা, মোবাইল ফোনের ব্যাল্যান্স রিচার্জ এবং বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটা করা যায়। দেওয়া যায় বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল। এসব কারণেই দিনে দিনে বাড়েছে এই খাতটির গ্রহণযোগ্যতা।
তবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছে দেশের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। কারণ এর মাধ্যমে তারা সহজেই একটি নিয়মতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে আর্থিক লেনদেন করতে পারছেন।
বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নিচ্ছেন এমন গ্রাহক সংখ্যা পাঁচ কোটিরও বেশি। প্রায় ১৮ টির মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান থাকলেও ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বিকাশ এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি রকেট মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সবার চেয়ে এগিয়ে আছে।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে যেমন কোটি কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছে তেমনি একটি অসাধু চক্র এই সেবাটির অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। কিছুক্ষেত্রে তারা সফলও হচ্ছে।
তাই মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রতারণা রোধে গ্রাহকের সচেতনতার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন। তাঁরা মনে করেন, গ্রাহক সচেতন হলে এসব প্রতারণা অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হবে।
মোবাইল ব্যাংকিং কেন্দ্রিক প্রতারণার ধরন বিশ্লেষণ করে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। এগুলো হলো : মোবাইল ফোনে অপরিচিত কারো কথায় নম্বর ডায়াল না করা অথবা লেনদেন না করা, নিজের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর ও কত টাকা আছে তা কাউকে না বলা। এ ছাড়া কেউ যদি টেলিফোন করে ভুলে টাকা পাঠানোর কথা বলে ফেরত চায় তাহলে অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স চেক করা এবং কারো প্ররোচনা বা লটারি জেতার মিথ্যা আশায় লেনদেন না করা।
এসব বিষয়গুলো মাথায় রাখলেই নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করা সম্ভব বলে মনে করে এসব সেবা প্রদানকারী সংস্থা।