প্যারাগন লেদার মামলায় আরো দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

শেয়ারের সার্টিফিকেট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আরো দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ রোববার আদালতে সাক্ষ্য দেন জামিউল ইসলাম ও আজিজুর রহমান। শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁরা হলেন মাহমুদুল হাসান, শুভ্র কান্তি চৌধুরী, মিজানুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, জামিউল ইসলাম ও আজিজুর রহমান।
মামলাটির শুনানির সময়ে আদালতে দুজন আসামি উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন মামলায় ১৯ নম্বর আসামি মাহবুবুর রহমান ও ২০ নম্বর আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন। আসামিদের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।
প্রসঙ্গত, প্যারাগন লেদারের শেয়ার জালিয়াতি নিয়ে কোম্পানিসহ আরো ২০ জনকে আসামি করে ২০০২ সালে মামলা করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আসামিরা হলেন—এ বি এম মোরশেদুল হক, হেমন্ত বাইন, মো. সাইফুল্লা মিজান, শামসুল হাদী, মো. বশির আলম, মাহবুবুর, এম এ সালাম, আবুল কালাম আজাদ, নূর মোহাম্মদ, আবদুস সালাম, এস এস জুনায়েদ বাগদাদী, মো. কুতুবউদ্দিন, মো. আরব মিয়া, আলী আহম্মেদ, মো. নূরুল আফসার, মো. কলিমউদ্দিন, মো. জালাল উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন এবং প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
কোম্পানিটির শেয়ার জাল করার ব্যাপারে আসামিরা বড় ভূমিকা রাখেন বলে জানা গেছে। এই জাল শেয়ার সার্টিফিকেট কিছু ব্যক্তি ও কোম্পানিটির কিছু কর্মকর্তা ঋণের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেন। আর ওই সব জাল শেয়ার সার্টিফিকেট ব্যাংকের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসে। কোম্পানিটির শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসইসি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ২০০১ সালের ৩১ মে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।