টাকা পাচার রোধে ‘নিবিড় নজরদারি’ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

Looks like you've blocked notifications!
মুদ্রানীতি প্রসঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর। ছবি : এনটিভি

দেশ থেকে চার হাজার কোটি টাকা পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর বলেছেন, ‘টাকা পাচার রোধ করতে নিবিড়ভাবে নজরদারির ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’

 এ ছাড়া অস্বাভাবিক আমদানি প্রবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাজস্ব বোর্ড ও বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন গভর্নর।

আজ মঙ্গলবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গভর্নর ফজলে কবীর এসব কথা বলেন।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে সংযত ভঙ্গির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কিছুটা পরিবর্তনের আভাস দেওয়া হয়েছে। মুদ্রানীতিতে অভ্যন্তরীণ খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ঋণের প্রবাহ যাতে বিলাসী পণ্যের আমদানিতে না যায় সেজন্য নজরদারি আরো বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন গভর্নর।

ফজলে কবীর বলেন, ‘আগেকার ধারাবাহিকতায় প্রবৃদ্ধিবান্ধব এবংএকইসঙ্গে মূল্যস্ফিতী পরিমিত রাখার লক্ষ্যে মুদ্রানীতি ভঙ্গি সংযত ধরনেরই থাকবে। বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব এবং সামগ্রিক ভারসাম্যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান কিছুটা চাপের মুখে পড়েছে। অভ্যন্তরীণ ঋণের ব্যবহার বিলাসী অপ্রয়োজনীয় আমদানি পণ্যের জন্য না হয়ে প্রকৃত উৎপাদনমুখী অগ্রাধিকার খাতে ব্যবহার হওয়ার বিষয়ে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নজরদারির পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরদারি নিবিড়তর করার প্রয়োজন মনে করছি।’  

গভর্নর জানান, গত অর্থবছরের মুদ্রানীতির বেশিরভাগ সূচক সীমার মধ্যে থাকলেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল আমদানি প্রবৃদ্ধি। মে মাস পর্যন্ত আমদানি প্রবৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আমদানির এই অস্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মুদ্রা পাচারের প্রবণতার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে স্বর্ণ হেরফেরের বিষয়ে গভর্নর জানান, কাস্টমস কর্মকর্তারা স্বর্ণ যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলেন ঠিক সেই অবস্থাতেই রয়েছে। স্বর্ণের কোনো হেরফের হয়নি জানিয়ে ফজলে কবীর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট খুবই সুরক্ষিত। ছয় স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তার মধ্যে ৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে।’