যোগাযোগে অসুবিধার কারণে বিনিয়োগে আস্থা হারাচ্ছে চট্টগ্রাম

অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রামে বিনিয়োগ করতে চাইছেন না।
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মহিলা চেম্বার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মহিলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী। তিনি চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টকে পরিপূর্ণ এবং কার্যকরী করে গড়ে তোলার দাবি জানান।
মনোয়ারা হাকিম আলী বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম যে, আমাদের ইনফাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট যতক্ষণ না হবে প্রোপারলি, সেখানে আমাদের ইনভেস্টমেন্টগুলা ঠিক মতো আসতে পারছে না। আমাদের বেরিয়ারটা হলো আমাদের এই যে রাস্তাঘাট অবকাঠামোগুলোকে উন্নয়ন করা। এই মুহূর্তে খুবই দরকার। এবং আমি আশাবাদী ইনশাল্লাহ, আগামী বছর আমরা আলোর মুখ দেখতে পাব। কাজ হচ্ছে, সব জায়গায় কাজ হচ্ছে। কাজটা আরো দ্রুত হোক সেটা আমাদের চাওয়া।’
মহিলা চেম্বারের সভাপতি বলেন, ‘এখন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট আছে নামে। কিন্তু প্রোপারলি যদি সেটাকে পরিচালনা করা যায়, ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে যদি আমাদের বিভিন্ন এয়ারলাইনগুলা এইখানে আসতে পারে। আমি আশাবাদী এখান থেকে অনেক প্যাসেঞ্জার, অনেক ট্যুরিস্ট এবং ব্যবসায়ী ট্যুরিস্ট এমনি ট্যুরিস্ট বলেন। যোগাযোগের ব্যবস্থাটা যদি এয়ারলাইনের হয়, তাইলে আমি মনে করি এখানে অনেক লোকজন আসবে। সেই সুবিধাটা যদি ডাইরেক্ট মালয়েশিয়া থেকে একজন লোক এইখানে আসতে পারে, আমি মনে করি ইন্দোনেশিয়া থেকে যদি ডাইরেক্ট আসতে পারে। আমাদের সার্ক কান্ট্রিস থেকেও যদি যোগাযোগের ব্যবস্থাটা সরাসরি হয়, আমি আশাবাদী চট্টগ্রাম অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এই মুহূর্তে আমাদের খুবই দরকার এই এয়ারপোর্টটাকে পরিপূর্ণ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট করা।’
মাসব্যাপী ১২তম আন্তজাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো উপলক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামে পরিপূর্ণ বিমান বন্দর গড়ে তোলার দাবি জানান বক্তারা।
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে মাসব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ সাবিহা মুসা, মহিলা চেম্বারের আবিদা মোস্তফা, রুহী মোস্তাফা, জেসমিন আকতার ও ডা. মুনাল মাহবুব বক্তব্য দেন।