নিরাপত্তা পাওয়ায় ট্রাকজট!
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় পণ্যবাহী দুই হাজার ট্রাক আটকা পড়েছে। এর সঙ্গে প্রতিদিন নতুন নতুন ট্রাক যুক্ত হচ্ছে। কিন্তু সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে দৈনিক খালাস হচ্ছে ৩০০-৪০০টি ট্রাক। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ভোমরা বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা জানান, তাঁরা আমদানি করা পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নিরাপত্তা পাচ্ছেন। এই কারণে ভোমরার বিপরীতে ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে গাড়ির অস্বাভাবিক চাপ পড়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে সাতক্ষীরা ও আশপাশ এলাকায় অবরোধ বা হরতালের প্রভাব পড়েনি। এ এলাকায় সহিংসতার কোনো ঘটনাও ঘটেনি। কেবল ঢাকামুখী বাস না ছাড়লেও অন্য সব যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম জানান, ভোমরা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির পর তা খুলনা অথবা যশোর পেরিয়ে ঢাকা, মংলা, চট্টগ্রাম এলাকায় নির্বিঘ্নে যেতে পারছে। বিজিবির সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ নজরদারির মাধ্যমে পণ্য পরিবহনে পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। চাইলে সরাসরি পাহারা দিয়েও গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে বিজিবি। একই দায়িত্ব পালন করছে পুলিশও। এই নিরাপত্তা সহযোগিতার সুবিধা পেতে বাংলাদেশের আমদানিকারকরা ভোমরা স্থলবন্দর বেছে নিয়েছেন। এ জন্য বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে ভারতীয় সীমান্তজুড়ে প্রায় দুই হাজার গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে প্রতিদিন নতুন নতুন গাড়ি যুক্ত হলেও বন্দরে খালাস হচ্ছে মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০টি গাড়ি।
আমদানিকারক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী জানান, নিরাপত্তার জন্য তিনি ভোমরা বন্দর ব্যবহার করছেন। কিন্তু ওপারে ঘোজাডাঙ্গায় তাঁর পাঁচটি ট্রাক ১০দিন ধরে জটে আটকে রয়েছে।