চালের বাড়তি দামে হতাশ ক্রেতারা

Looks like you've blocked notifications!
নির্বাচনের আগ থেকেই বাড়তে থাকা চালের দাম না কমায় সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। ছবি : এনটিভি

বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দামই বাড়ছে। গত এক মাসে মানভেদে প্রতি কেজি চালের দাম, গড়ে চার থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। চালের দামের এই ঊর্ধ্বগতির জন্য মিল মালিকদের দায়ী করছেন আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা। চালের দাম না কমায় সাধারণ ক্রেতারা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।

নির্বাচনের আগ থেকেই চালের দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করেছিল। পরবর্তীতেও সে ধারা অব্যাহত থাকায় বৃহস্পতিবার চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন নবনিযুক্ত খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এতে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চালকল মালিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমাদের এই চাউলের দাম বৃদ্ধি কেন? যৌক্তিক কোনো কারণ আছে কি না সেটা আমাদের খতিয়ে দেখা দরকার।’

‘যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়া চালের দাম বাড়লে একটা ভিন্ন ব্যাপার চলে আসে, কোনো উদ্দেশ্যমূলক কারণে বাড়লো কি না?’ বৈঠক শেষে বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সরকারি হিসেবে ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বর্তমানে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তবু বাজারে চালের বাড়তি দামে হতাশ সাধারণ মানুষ। খুচরা বিক্রেতারা জানান, গত এক মাসে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য চালের দামও বাড়তি বলে জানান তারা।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারে একজন ক্রেতা বলছিলেন, কেজিতে যদি পাঁচ টাকা করে বাড়ে তাহলে চিন্তা করেন বস্তায় কতো করে বাড়ে। বাড়ার তো একটা সীমা আছে। চালের বাজারটা আরো কম থাকা উচিত। ৫০ কেজির বস্তা ২ হাজার ৬০০ টাকা, এটা অনেক বেশিই হয়ে যায়।

চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের অসম প্রতিযোগিতাকেই দায়ী করছেন আড়তদাররা। রাজধানীর অন্যতম চালের আড়ত বাবুবাজারের একজন পাইকারি চাল বিক্রেতা বলছিলেন, ‘নির্বাচনের এক সপ্তাহ ১০ দিন আগ হইতে চালের দামটা বাড়া শুরু হইছে। নির্বাচনের পর হইতে আরো বেশি বাইড়া গেলোগা।’

অপর এক চাল ব্যবসায়ী বলছিলেন, মিল মালিকরা এমনভাবে বাজারকে  আয়ত্বে নিয়ে গেছে, তারা ইচ্ছে করলে দাম কমাতে পারে, ইচ্ছা করলে দাম বাড়াতে পারে।

মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের এক পাইকারি চাল বিক্রেতা বলেন, প্রতিটা মিল মালিকই বলছে, ধানের দাম বেশি। ধানের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে চালের দাম বেশি। প্রত্যেকটা মিল মালিক যদি একসঙ্গে ধান কিনতে যায়। নতুন অবস্থায়ই তো ধানের দাম বেশি থাকবে, কারণ সবারই ধান দরকার, দাম তো বাড়বেই।

চালের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে, সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সরকারের নবনিযুক্ত খাদ্যমন্ত্রীর সামনে এই বাড়তি চালের দাম কমানোই চ্যালেঞ্জ আকারে দেখা দিয়েছে।