‘গ্যাসের দাম বাড়লে পোশাক খাতে বিপর্যয় নামবে’

Looks like you've blocked notifications!
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। ছবি : এনটিভি

অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ালে ব্যবসা ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না বলে মনে করছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।

আজ বুধবার দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ী সংগঠন-বিজিএমইএ, বিটিএমএ ও বিকেএমইএ যৌথ সম্মেলনের আয়োজন করে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি জানায়। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য জানায়।

সংগঠনগুলোর যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন- বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রশ্ন করেন, ‘গ্যাস বিতরণ সংস্থাগুলোর প্রস্তাবিত ১৩২ শতাংশ অনুযায়ী যদি গ্যাসের বাড়ানো হয়, তাহলে আমরা কীভাবে আমাদের শিল্পকে টিকিয়ে রাখব?’ তিনি বলেন, ‘গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হলে পোশাক খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।’

সভাপতি বলেন, ‘প্রস্তাবিত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে পোশাক ও বস্ত্র খাতের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। কারণ এর ফলে শিল্পে উৎপাদন খরচ সার্বিকভাবে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।’

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হলে পোশাক খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। বৈদেশিক বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পোশাকের দামের বিপরীতে শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর পরে পোশাক খাত এমনিতেই অনেক চাপে রয়েছে।’

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘গ্যাসের দাম বাড়ালে আমাদের উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। এর ফলে ভিয়েতনাম ও মিয়ানমারের মতো অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক দেশ আমাদের বাজার দখল করে নিতে পারে।’

সভাপতি উল্লেখ করেন, ‘গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও সরকারের প্রত্যেক পরিবার থেকে কমপক্ষে এক ব্যক্তিকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। শিল্পায়ন ব্যাহত হলে প্রস্তাবটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও অনেক বাধা সৃষ্টি করবে।’

‘শিল্পের একটি বিশেষ অংশের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে গ্যাসের দাম বাড়ানো উচিত হবে না,’ বলেন তিনি।

বাংলাদেশ বস্ত্র কারখানা সমিতির (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘যদি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়, তবে প্রতি কেজি সুতার উৎপাদন খরচ ৭ টাকা ৭২ পয়সা বা ইউএস ৯ সেন্ট হারে বেড়ে যাবে। যেখানে বর্তমানে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের প্রতি কেজি সুতায় ৩০ টাকা করে ভর্তুকি দিতে হয়। সেজন্য দিন শেষে আমাদের প্রতি কেজি সুতা উৎপাদনের জন্য ৩২ টাকা ৯২ পয়সা বা ইউএস ৩৯ সেন্ট ক্ষতির হিসাব করতে হবে।’

খোকন আরো বলেন, ‘সেজন্য যদি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে বস্ত্র খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে এটি দেশের অর্থনীতিতে একাধিক প্রভাব ফেলবে। ব্যাংকিং খাতে একটি বড় বিপর্যয় আনবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সরকার ছয়বার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে এবং বিদ্যুতের দাম ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনসুর আহমেদ।