বিজিএমইএ নির্বাচন
ফেল করার অধিকার দিন : জাহাঙ্গীর আলম
‘নির্বাচন করতে এসে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি। সভাপতি হতে চাই না। ভোটাররা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিক। পছন্দমতো নেতাকে নির্বাচন করুক। জয়-পরাজয় বিষয় নয়। তারপরও ভোট হোক। পরিচালকরা যাকে নির্বাচিত করবে, সে-ই সভাপতি হবে। তবে নির্বাচনে ফেল করার অধিকার দিন।’ গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা ক্লাবে ‘তৈরি পোশাকশিল্পের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ‘স্বাধীনতা পরিষদ’ আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বিজিএমইএ নির্বাচন ‘২০১৯-২১’ মেয়াদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে স্বাধীনতা পরিষদ। প্রধান বড় দুই প্যানেল সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের বাইরে তৃতীয় শক্তি হিসেবে এক বছর আগে আত্মপ্রকাশ করেছে স্বাধীনতা পরিষদ। এই পরিষদের প্যানেল পরিচিতি ও নির্বাচনী ইশতেহার গতকাল পাঠ করেন জাহাঙ্গীর আলম।
ইশতেহার পাঠের সময় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা জানি, এই নির্বাচনটির জন্য আপনারা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে আছেন। বিজিএমইএসহ পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার আন্তরিক সমর্থনের ফসল ৬ এপ্রিলের নির্বাচন। আপনার ভোটের অধিকার ফেরত দিতে কিছুটা হলেও অবদান রেখেছে স্বাধীনতা পরিষদ। এই অর্জনের আনন্দ আপনার, আমার, আমাদের।’
এ সময় স্বাধীনতা পরিষদের পক্ষ থেকে পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তিকে দেশে-বিদেশে সঠিকভাবে তুলে ধরার অঙ্গীকার করা হয়। পাশাপাশি বলা হয়, লবিস্ট নিয়োগসহ দেশে-বিদেশের প্রচারমাধ্যম ও দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায় পোশাকশিল্পের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করবে এই স্বাধীনতা পরিষদ।
মালিকদের ভোগান্তি কমানো, শ্রমিকের সঙ্গে সুসম্পর্ক, অনলাইনভিত্তিক সেবাসহ পোশাকশিল্পের নানাবিধ সমস্যা নিরসনে ইশতেহারে মোট ১২টি অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়।
প্রায় পাঁচ বছর পর বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন হবে আগামী ৬ এপ্রিল। স্বাধীনতা পরিষদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক।