বাজেট নিয়ে খুশি ব্যবসায়ী নেতারা
এবারের বাজেট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাঁরা এর বাস্তবায়নটাকেই এগিয়ে রাখছেন।
বাজেটের ব্যাপারে ৭০ ভাগ খুশি বলে জানিয়েছেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক। সামাজিক সুরক্ষা খাতে পোশাক শ্রমিকদের ভর্তুকি ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে নতুন বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসী।
এ ছাড়া এবারের বাজেট পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
এবারের বাজেটকে জনকল্যাণমুখী উল্লেখ করে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘বাজেটকে সাধুবাদ জানাই। আমরা নিঃসন্দেহে মনে করি, এটি জনকল্যাণমুখী একটি বাজেট এবং শিল্পের দিক থেকে যদি বলতে বলেন, তাহলে এটুকু বলতে পারি যে, শতভাগ খুশি না হলেও আমরা অন্তত শতকরা ৭০ ভাগ খুশি হয়েছি।’
বিজিএমইএর সভাপতি আরো বলেন, ‘পোশাক খাতটি এমন একটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে এই ইনসেনটিভটা আসলে আমরা যৎসামান্য মনে করি এবং মনে হয়, অন্ততপক্ষে ৩ পার্সেন্টও যদি দিতেন, তাহলে আমাদের লাভ হতো। কাস্টমস অ্যাক্ট ৬৯ পরিবর্তন করা হবে, সেটিও আমাদের জন্য খুব ভালো। আরেকটি কথা হচ্ছে, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে স্ক্যানার ব্যবহার করা হবে। এটি আমাদের জন্য ভালো যে, নারী উদ্যোক্তাদের শোরুমের ওপরে কোনো ট্যাক্স ধরা হবে না। সেটি অবশ্য যৎসামান্য বলে মনে করি।’
এদিকে নতুন বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব বাজেট বলে উল্লেখ করেছেন ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসী। একই সঙ্গে ভ্যাট আইন আরো সহজ করার অনুরোধ করেন তিনি।
ওসামা তাসী বলেন, ‘ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে ডেফিনেটলি এটি একটি বিজনেস ফ্রেন্ডলি বাজেট। তবে আমি বারবার বলছি যে, বাস্তবায়নটাই হচ্ছে মূল ইস্যু। অনেক কিছু থাকে বাজেটে। কিন্তু এটা যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে ব্যবসায়ীরা সেই সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। আমরা ভ্যাটটা দিতে চাই। সুষ্ঠুভাবে দিতে চাই।’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান বলেন, ‘আর্থিক খাতে সংস্কারসহ পুঁজিবাজারে সুশাসন ও অনেকগুলো বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে আছে, বিশেষ করে স্টক ডিভিডেন্টটাকে ডিসকারেজ করে আমাদের ক্যাশ ডেভিডেন্ট দেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের যে একটা বিশেষ প্রত্যাশা, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।’