পেঁয়াজের দাম বেড়েছে লাফ দিয়ে, কমছে কচ্ছপ গতিতে

Looks like you've blocked notifications!

গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও প্রতি কেজি পেঁয়াজের খুচরা মূল্য ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ১৩ সেপ্টেম্বর ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির মূল্য বাড়িয়ে দেয়। পরদিনই এক লাফে পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় উঠে যায়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত বাংলাদেশে পুরোপুরি পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ওই দিন বিকেলেই দেশের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দাঁড়ায় কেজিপ্রতি ১২০ টাকায়।

অস্থির পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দফায় দফায় বৈঠক করে চলেছে। মনিটরিং টিম বাজারে নামিয়ে ও গুদামে অভিযান চালিয়েও সুফল পাচ্ছে না।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে এলেও এখনো তা ক্রেতার নাগালের বাইরে। ১২০ টাকার পেঁয়াজ আজও বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ এখনো ১০০ টাকায় আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ক্রেতা আফজাল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দাম বাড়ার পর থেকে দুই কেজি করে পেঁয়াজ কিনছি। শুনলাম দাম কমে গেছে। এ জন্য আজ বাজারে এলাম। এখন দেখি সেই আগের দামই প্রায়।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ক্রেতা আরো বলেন, ‘কোনো একটা ছুতো পাইলেই ব্যবসায়ীরা এক লাফে দাম বাড়িয়ে দেয়। আর কমাতে চায় না। এক টাকা-দুই টাকা করে দাম কমায়। গত মাসের শুরুতে পেঁয়াজ কিনেছি ৩০ টাকা কেজি দরে। দুই দফায় তা বেড়ে হয়ে যায় ১২০ টাকা। এখন হাঁকডাক দিয়ে দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাজারে এসে দেখি ১০০ টাকা।’

লোকমান হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘দাম আর কমল কই? কেজিতে বেড়েছে ৮০ টাকা। কমল ১০ টাকা। সবই ব্যবসায়ীদের কারসাজি।’

কারওয়ান বাজারের আড়তদার ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমদানিকারকরা দাম না কমালে আমরা কমাব কীভাবে? তবে আর হয়তো সপ্তাহখানেকের মধ্যে দাম আরো কমে আসবে। এমন কথা আমরাও শুনছি।’

গত মাসের মাঝামাঝি ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। হঠাৎ করে ভারতের এ ঘোষণায় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণেরও বেশি করে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। এতে আরো এক দফা বেড়ে ৩০ টাকার পেঁয়াজ হয়ে যায় কেজিপ্রতি ১২০ টাকা।’

এমন অবস্থায় পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে সরকার টিসিবির মাধ্যমে ট্রাকে খোলাবাজারে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। পাশাপাশি মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেয়। এ ছাড়া আমদানি শুল্কও হ্রাস করা হয়। এতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে আসতে শুরু করে।

আজ শুক্রবার দেশের বিভিন্ন সীমান্ত স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসছে। এতে বাজার আরো স্থিতিশীল হবে বলে আশা করছেন ক্রেতারা।