বীমা আইন লঙ্ঘনের দায়ে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও এই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তাকে মোট নয় লাখ টাকা জরিমানা করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। আইডিআরএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  

বীমা আইন, ২০১০-এর ১৮(৩) ধারা, ১৯৫৮-এর ৪৪ থেকে ৫১ ধারা লঙ্ঘনের কারণে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেছে আইডিআরএ। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তাকে দেড় লাখ করে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ১১ নভেম্বর। এতে সভাপতিত্ব করেন আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ। শুনানির সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সদস্য মো. কুদ্দুস খান, সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা, মো. মুরশিদ আলম ও আইডিআরএর পরিদর্শকদলের কর্মকর্তারা। 

শুনানিতে কোম্পানির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী মো. হাফিজউল্লাহ, লোকাল শাখা ব্যবস্থাপক এ এইচ এম আনোয়ার নেওয়াজ খান, মহাব্যবস্থাপক মীর শাহজাহান করিব ও সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম।  

আইডিআরএর পরিদর্শকদল গত ১৪ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের লোকাল শাখা পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে প্রতিষ্ঠানের মানি রিসিপ্ট, ব্যাংক ডিপোজিট স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, কাভারনোট ও পলিসি পরীক্ষা করে বাকিতে ব্যবসা করার প্রমাণ পাওয়া যায়। শুনানিতে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে বীমা আইন, ২০১০-এর ১৮ (৩) ধারা এবং ১৯৫৮-এর ৪৪ থেকে ৫১ ধারা লঙ্ঘন করার প্রমাণ মেলে। 

কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের পক্ষে উপস্থিত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট শাখা ব্যবস্থাপক শুনানিতে বাকি ব্যবসা করার বিষয়টি স্বীকার করেন। ২০১৪ সালের জুন, নভেম্বর ও ডিসেম্বর প্রতি মাসে বাকি ব্যবসার জন্য বীমা আইন, ২০১০-এর ১৩০ ধারা অনুযায়ী এ কোম্পানিকে দুই লাখ টাকা করে তিন মাসের জন্য মোট ছয় লাখ টাকা জরিমানা করেছে আইডিআরএ।  

বীমা আইন, ২০১০-এর ১৩৪ ধারা অনুযায়ী, কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী মো. হাফিজউল্লাহকে ব্যক্তিগতভাবে ৫০ হাজার টাকা করে তিন মাসে দেড় লাখ টাকা এবং বীমা আইন, ২০১০-এর ১৩৪ ধারা অনুযায়ী লোকাল শাখা ব্যবস্থাপক এ এইচ এম আনোয়ার নেওয়াজ খানকে ব্যক্তিগতভাবে ৫০ হাজার টাকা করে তিন মাসের জন্য দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।