যুক্তরাষ্ট্র বুঝেছে জিএসপি দিতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। পুরোনো ছবি

পণ্যের অবাধ বাজারসুবিধা (জিএসপি) না দিলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) অর্থবহ হবে না—এটা যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা পাওয়ার জন্য সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে। আশা করছি, বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা ফেরত পাবে। আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জিএসইপি ও টিকফা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পরিষ্কার বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনে টিকফার দুদিনের সম্মেলন গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। জ্যেষ্ঠ বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সেখানে বাংলাদেশের জিএসপির বিষয়টি শক্তভাবে তুলে ধরেন। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১৬টি শর্ত পূরণ করা হয়েছে, যা সম্মেলনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

কবে নাগাদ জিএসপি সুবিধা ফেরত পাওয়া যাবে—এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। যেভাবে জিএসপি প্রত্যাহার করা হয়েছে, সেভাবেই পুনর্বহাল করা হবে।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করা পণ্যের সিংহভাগই তৈরি পোশাক। তবে তৈরি পোশাকে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা দেয় না যুক্তরাষ্ট্র। ‘জিএসপি স্কিম’ বহাল থাকা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। আর দেশটিতে জিএসপি সচল থাকা অবস্থায় রপ্তানি অবদান ছিল দুই কোটি ৩০ লাখ ডলার। শতাংশে হিসাব করলে এ অবদান দশমিক ২৫ শতাংশেরও কম। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। এর মধ্যে ৫৭৮ কোটি ডলারের পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করে দেশটি।