চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে

Looks like you've blocked notifications!

চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে। গত অর্থবছরের (২০১৪-১৫) একই সময়ের চেয়ে এ খাতে রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয় নয় হাজার ৪৪ কোটি আট লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল নয় হাজার ৭০২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় চার হাজার ৫৯৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে চার হাজার ৪৮৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ২ দশমিক ৩৪ শতাংশ।  

গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয় চার হাজার ৫৮১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে শুধু চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয় ৮৮০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এ পণ্য রপ্তানি থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৯৯৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তবে এ সময়ে আয় হয় এক হাজার ৪১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে চলতি অর্থবছরের এ সময়ে আয় বেড়েছে ৬০ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে শুধু চামড়া রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫১৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তবে এ সময়ে আয় হয় এক হাজার ৫৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ দশমিক ৩১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর প্রান্তিকে চামড়া রপ্তানি থেকে আয় হয় এক হাজার ৬৮৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের একই সময় আয় ৩৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ কমেছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর প্রান্তিকে চামড়ার জুতা রপ্তানি থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় দুই হাজার ৮৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আয় হয়েছে দুই হাজার ১৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের এ সময় চামড়ার জুতা রপ্তানি থেকে আয় হয় দুই হাজার ১১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।