ছয় মাসে ২১ হাজার কোটি টাকা আয়কর আদায়
চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (ডিসেম্বর ২০১৫) ২১ হাজার ২৮ কোটি টাকা আয়কর আদায় হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে দশম সংসদের নবম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে পিরোজপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. মো. রুস্তম আলী ফরাজীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী জানান, ‘বিগত অর্থবছরের প্রথমার্ধে আয়কর আদায় হয়েছিল ১৯ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। এ বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৩ ভাগ। বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রাণান্তকর চেষ্টা করা হচ্ছে। বছর শেষে তা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’
ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজস্ব বিভাগকে প্রযুক্তিনির্ভর করার লক্ষ্যে সরকার নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়েছে।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরের (২০১৫-১৬) ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ ছিল ১৫০১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ; চলতি অর্থবছরে একই সময়ে প্রাপ্ত মোট বৈদেশিক সহায়তার পরিমাণ ১৫৯২ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, চলতি অর্থবছরে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্ত বৈদেশিক সহায়তার মধ্যে অনুদানের পরিমাণ ২৯৮ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ঋণসহায়তার পরিমাণ ১২৯৩ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. সোহরাব উদ্দিনের এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তফসিলি ব্যাংকে কোটি টাকার হিসাব সংখ্যা (আমানত+আগাম) ২০১৫ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক লাখ ১৪ হাজার ২৬৫টি।
সংসদে দেওয়া মন্ত্রীর তথ্যানুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরে কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। মন্ত্রীর দেওয়া হিসেবে দেখা যায়, ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোটিপতির হিসাব সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ১৫০টি, ২০১২ সালের একই সময় পর্যন্ত ৯০ হাজার ৬৫৫টি, ২০১৩ সালে ৯৮ হাজার ৫৯১টি, ২০১৪ সালে এক লাখ আট হাজার ৯৭৪টি এবং ২০১৫ সালে এক লাখ ১৪ হাজার ২৬৫টি।