ধামরাইয়ে নির্মিত হচ্ছে হস্ত ও কারুশিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
হস্ত ও কারুশিল্পীদের দক্ষতা উন্নয়নে ধামরাইয়ে একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ জন্য ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের বিসিক শিল্পনগরিতে দশ কাঠা জমি বরাদ্ধের ঘোষণা দেন তিনি।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে হস্ত ও কারুশিল্প নীতিমালা-২০১৫’র বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্প সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সরকার হস্ত ও কারুশিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা দেবে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। ব্যাংক থেকে বিশেষ ঋণ সুবিধা প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রীর সাথে আলোচনার আশ্বাসও দেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হস্ত ও কারুশিল্প পণ্যে গুণগত মানোন্নয়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে ঢাকার ধামরাইয়ে ১০ কাঠা জায়গায় একটি আধুনিক ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে। এ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ, হস্ত ও কারুশিল্প পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও গুণগত মানোন্নয়নের ওপর গবেষণার সুযোগ থাকবে।
এ সময় উৎপাদিত পণ্যের দাম সাশ্রয়ী করার আহ্বানও জানান মন্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, সম্প্রতি ভারতের সাথে মীমাংসায় পাওয়া সমুদ্র এলাকা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা। এসব সম্পদ কাজে লাগাতে পারলে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাক্রাফ্ট এবং হস্ত ও কারুশিল্প নীতিমালা-২০১৫-এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি মালেকা খান। তিনি বলেন, দেশে প্রায় ৫০ লাখ হস্ত ও কারুশিল্পী বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করছে। গ্রামভিত্তিক অর্থনীতি জোরদারে এ শিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই এ শিল্পের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শতকরা ২০ ভাগ নগদ প্রণোদনা দেওয়া দরকার। এ ছাড়া এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিশেষ ঋণ দিলে এ শিল্পকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
মালেকা খান আরো বলেন, হস্তশিল্পীদের প্রস্তুতকৃত নতুন পণ্যের জন্য বিজিএমইএ থেকে সনদ নিতে হয়। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ বিজিএমইএর সাথে এ শিল্প সম্পৃক্ত নয়। তাই হস্তশিল্পের উৎপাদিত সব পণ্যের সনদসহ যাবতীয় সুবিধা-অসুবিধা খাত সংশ্লিষ্টদের ওপর দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ হস্তশিল্প প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বাংলাক্রাফ্ট) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিসিকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, নাসিবের প্রেসিডেন্ট মির্জা নুরুল গনি শোভন, বাংলাক্রফটের সাবেক চেয়ারম্যান এস ইউ হায়দার বক্তব্য দেন।