দেশের ৫৬টি ব্যাংকে শিশুদের সঞ্চয় ৮০০ কোটি টাকা

Looks like you've blocked notifications!
এনটিভির পুরোনো ছবি

স্কুল ব্যাংকিং চালুর পর পাঁচ বছরে ৫৬টি ব্যাংকে ১০ লাখের বেশি ছাত্রছাত্রী হিসাব খুলেছে। এ সময়ে এসব হিসাবে জমা হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ‘স্কুল ব্যাংকিং’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

সেমিনারে বাকপ্রতিবন্ধী শিশুদের উদ্দেশে ‌গভর্নর বলেন, ‘বিশ্বের প্রতি একশজন মানুষের মধ্যে একজন বাকপ্রতিবন্ধী। যুক্তরাষ্ট্রে এ হার প্রতি ৮৭ জনে একজন। এসব শিশু বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বঞ্চনা ও অবজ্ঞার সম্মুখীন। জীবনযাপনে অক্ষমতা নিজের ও পরিবারের দারিদ্র্য বাড়ায়। সবার সহযোগিতায় বাকপ্রতিবন্ধীরাও দেশ, জাতি ও সমাজের উন্নয়নে সক্ষম হবে। নানা উদ্যোগ নেওয়ায় আমাদের সোনালি সন্তানরা আজ পিছিয়ে নেই। তারা বিশেষ অলিম্পিকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য সম্মান আনছে।’

শিশুদের উদ্দেশে গভর্নর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক তোমাদের হিসাব খোলার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যেকোনো ব্যাংকে গেলেই এই হিসাব খুলতে পারবে। ঈদ বা পূজার বকশিশ, বৃত্তি, উপবৃত্তির টাকা এ হিসাবে জমা করতে পারবে। জমানো টাকায় উচ্চশিক্ষা বা ব্যবসার কাজে লাগাতে পারবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা সম্পর্কেও জানতে পারবে। এটিএম, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মতো আধুনিক সেবার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।’

আতিউর রহমান বলেন, ‘২০১০ সালের শেষ দিকে স্কুল ব্যাংকিং চালুর পর এ পর্যন্ত ৫৬টি ব্যাংকে ১০ লাখের বেশি ছাত্রছাত্রী ব্যাংক হিসাব খুলেছে। এসব হিসাবে জমার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এ সঞ্চয় সাধারণত মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে। এ টাকা ব্যাংকগুলোও অনুরূপ বিনিয়োগ করতে পারে। ছাত্রছাত্রীদের সঞ্চয় থেকে পরিবার ও সমাজের কল্যাণে ব্যয় হবে। সমাজে তারা বোঝা হবে না।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. শামীমা জামান।