চালু হলো ‘সুসংহত চেকপোস্ট’, বাণিজ্য বাড়ার আশা

Looks like you've blocked notifications!

বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্য আরো গতিশীল করতে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় ‘ইনট্রিগেটেড চেকপোস্টের’ (সুসংহত চেকপোস্ট) উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে ভারতের ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান ওয়াই এস সেরওয়াত ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চৌধুরী ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর দুই দেশের পণ্যবোঝাই ট্রাক আসা-যাওয়ার জন্য চেকপোস্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, এখানে একসঙ্গে এক হাজার ট্রাক অবস্থান করতে পারবে। থাকবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া প্রহরা। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।

৩০০ হেক্টর জমির ওপর তৈরি ওই আধুনিক চেকপোস্ট এলাকাটি পাহারায় থাকবে ৩০০ বিএসএফ সদস্য। ট্রাক টার্মিনাল, শীতাতপ ওয়ারহাউস, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট জোনসহ বাণিজ্য সহজীকরণের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকছে এখানে। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৭২ কোটি টাকা।

চেকপোস্ট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বন্দর ও কাস্টমসের মূল প্রশাসনিক ভবনসহ বিশ্রামাগার, চওড়া রাস্তা, আলো, আমদানি ও রপ্তানির ট্রাক রাখার গুদামঘর, পণ্য পরীক্ষার জন্য সিকিউরিটি চেকপোস্ট, পার্কিং, কোয়ারেন্টাইন ভবন (পশুখাদ্য ও প্রাণিখাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষাগার)।

উদ্বোধন শেষে  দুই দেশের বন্দর, কাস্টমস, প্রশাসন, ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলোর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয় ভারতের বন্দর প্রশাসনিক ভবনে।

সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার এ এফ এম আবদুল্লাহ খান, অতিরিক্ত কমিশনার ফিরোজ উদ্দিন, ডেপুটি কমিশনার মারুফুল ইসলাম, বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুফিজুর রহমান সজন, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারের বন্দর সাব-কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিলন, অহিদুল হক মোল্লা প্রমুখ। অপরদিকে ভারতের পক্ষে বক্তব্য দেন কলকাতার কাস্টমস কমিশনার ড. শেরন, ডেপুটি কমিশনার অনিল দাশ, ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির সদস্য ইউকে শর্মা।