ডেবিট কার্ড জালিয়াতি, প্রীত রেজার ফেসবুক পোস্ট

Looks like you've blocked notifications!

দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড জালিয়াতির ঘটনা ঘটে চলেছে। গণমাধ্যমেও তা নিয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে ব্যাংকগুলোর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন।  

আজ সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে কার্ড জালিয়াতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের নামি ওয়েডিং ফটোগ্রাফার প্রীত রেজা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন (ইংরেজিতে)—

‘সাবধান!’

‘আমার ব্র্যাক ব্যাংকের ভিসা ডেবিট কার্ডে জালিয়াতি হয়েছে। গত শনিবার (রাত ৮টার দিকে) যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম, আমার মোবাইল ফোনে একটি বার্তা আসে। বার্তায় লেখা, ফেয়ার কানেকশন থেকে আমি ২৪ হাজার ৯০০ টাকার কেনাকাটা করেছি। আমি স্তম্ভিত হই। মানিব্যাগে দেখলাম কার্ড আছে। কয়েক মিনিট পর আমি ১৬২২১ নম্বরে (ব্র্যাক ব্যাংকের কল সেন্টার নম্বর) কল করি। আমি ভাবছিলাম প্রতারক হয়তো তখনো ফেয়ার কানেকশনে আছে। তাই তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করি। ফেয়ার কানেকশন থেকে বলা হয়, কোনো অভিযোগ না পাওয়া পর্যন্ত কাউকে আটকানো যাবে না। আমাকে বলা হলো, পরের দিন যেন আমি তাদের কোনো শাখায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। তখন আমি অসহায় বোধ করি।’

‘আজ (সোমবার) ব্র্যাক ব্যাংকে (বনানী শাখা) গিয়ে আমি অভিযোগ জানাই। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলল, এ ধরনের অভিযোগ তারা প্রথম শুনছে। কল সেন্টার ও ব্যাংকের পুরো অভিজ্ঞতায় আমি দুঃখ পেলাম। ব্যাপারটা যেন এমন, আমি তাদের কাছে চেক বই বা পিন নম্বর পাওয়ার জন্য গেছি। এমন ভাব দেখাল তারা, যেন এটি কোনো জালিয়াতির ঘটনা না। দৈনন্দিন ঘটে যাওয়া তুচ্ছ কোনো ব্যাপার। আসলে ব্র্যাক ব্যাংকের বিজনেস কার্ড নেওয়াই আমার ভুল হয়েছে। একজনের মানিব্যাগে কার্ড, আর অন্যজন তা দিয়ে কেনাকাটা করে বেড়াচ্ছে! তবে এতে ভাগ্যকে মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।’

বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসেবে প্রীত রেজা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এই পোস্ট কার্ডধারী বন্ধু ও স্বজনদের সচেতন করার জন্য দেওয়া। বিশেষ করে ব্র্যাক ব্যাংকের সেবা যাঁরা নিচ্ছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

এই পোস্টের ব্যাপারে জানতে ফোন দেওয়া হয় প্রীত রেজাকে। এনটিভি অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি খুবই হতাশ। গত শনিবার রাতে যখন ঘটনা ঘটেছে, তখন সঙ্গে সঙ্গে আমি ব্র্যাক ব্যাংকের কল সেন্টারে ফোন দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তাদের সেবা সহায়তা পাইনি। আজ ব্র্যাক ব্যাংকের বনানী শাখায় গিয়ে আরো হতাশ হয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আচরণ দেখে হতাশ হয়েছি। তাদের ভাব দেখে মনে হয়েছে, এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু প্রতারক তো আরো অনেকের কার্ডও জালিয়াতি করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে। এ ঘটনা প্রথম ঘটলেও গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু প্রথমে আমার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করতে চায়নি ব্র্যাক ব্যাংকের ওই শাখা।’