ই-লাইব্রেরি চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান। পুরোনো ছবি

ডিজিটাইজেশনের অংশ হিসেবে ই-লাইব্রেরি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর আতিউর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংক লাইব্রেরির এ ভার্চুয়াল সংস্করণের উদ্বোধন করেন।

এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের সদস্য আসলাম আলম, মুস্তফা কামাল মুজেরি, সাদেক আহমদ, সনৎ কুমার সাহা, হান্নানা বেগমসহ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আতিউর রহমান বলেন, এটি নিঃসন্দেহে দেশের সেরা লাইব্রেরি। তবে এর সুরক্ষা ও মান যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে সে খেয়াল রাখতে হবে। এর মাধ্যমে জ্ঞানভিত্তিক কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।

গভর্নর বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির আকার দিনদিন বড় হচ্ছে। আগামীতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৫০০ বিলিয়ন ডলারের আকার ধারণ করবে। একে সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মীদের বিচক্ষণতা বাড়ানো দরকার। আশা করি এ লাইব্রেরি সে কাজে কর্মীদের সহায়তা করবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৯৬২ সালে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংক লাইব্রেরির যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকে এর উন্নয়ন কাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় একে ই লাইব্রেরিতে উন্নীত করা হলো। এ লাইব্রেরিতে সাত হাজার ই-বুক, ২৫ হাজার ই-জার্নাল ও এক হাজার সিডি-ডিভিডি রয়েছে। সব মিলিয়ে এ লাইব্রেরিতে মোট ৫৬ হাজার রিসোর্চ আইটেম রয়েছে। আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে এতে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক  ও  রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিটেকশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া এ লাইব্রেরিকে  ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি, ব্যাংক অব ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট ও আমেরিকান সেন্টারের সাথে ‍যুক্ত করা হয়েছে।

ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা বলেন, ২০০০ সালে এ লাইব্রেরির অটোমেশন কাজ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ই-লাইব্রেরি চালু করা হলো। এতে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে তা বাংলাদেশ ব্যাংকেরই তৈরি।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক মাত্র ৭০০ বই ও জার্নাল নিয়ে যাত্রা করলেও বর্তমানে তা ৫৬ হাজারে উন্নীত হয়েছে। ই-লাইব্রেরিতে বর্তমানে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ জন পাঠক পড়ছেন। এতে রয়েছে সাত হাজার ই-বুক, ২৫ হাজার ই-জার্নাল, এক হাজার সিডি ও ডিভিডি। ই-লাইব্রেরির মাধ্যমে এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মীরা তাঁদের আইডি নম্বর ব্যবহার করে নিজেরাই বই  ইস্যু ও রিটার্ন করতে পারবেন।