ক্ষুদ্র শিল্পের মর্যাদা পেল আগর
সুগন্ধি গাছ হিসেবে পরিচিত আগর উৎপাদনকে কুটির শিল্প থেকে ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। আজ সোমবার বিকেলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী কমিটির পঞ্চম সভা শেষে সাংবাদিকদের শিল্পমন্ত্রী এ ঘোষণার কথা জানান।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগর কাঠ থেকে তৈরি করা আতর ও সুগন্ধি বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত ও সমাদৃত। বহির্বিশ্বে এর চাহিদাও ব্যাপক। এ কারণে আগরকে আমরা ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে ঘোষণা করছি।’
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিশেষ এই উদ্ভিদের উৎপাদন বাড়িয়ে আমরা বিভিন্ন রকম সুগন্ধি পণ্য তৈরি করতে পারি। তাই এর প্রচার-প্রসারেই এ শিল্পকে ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’
আগর শিল্পের সাথে জড়িত মৌলভীবাজারের হাজার হাজার মানুষ। আগরকে ক্ষুদ্র শিল্পের মর্যাদা দেওয়ায় এ খাতে কর্মরত প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক ও সাড়ে ৩০০ কারখানার মালিক তাঁদের আস্থা ফিরে পাবেন। এ জন্য এ খাত সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবে বলে জানান তিনি।
আমির হোসেন আমু বলেন, সরকার দেশে যে সাতটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন করেছে, এর জন্য দ্রুততার সাথে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে কৃষিকাজ হয় না, অনুর্বর জমি এমন অঞ্চলে অধিগ্রহণের জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা যাতে কম সুদহারে ঋণ পেতে পারে, এ ব্যাপারে এসএমই ফাউন্ডেশনকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু এখনো যৌক্তিক সুদহারে ঋণ পাচ্ছে না। তারা যেন যৌক্তিক সুদহার অর্থাৎ ৭ বা ৮ শতাংশ হারে ঋণ পায়, এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ফাউন্ডেশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু জাতীয় শিল্পনীতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী জুনের মধ্যেই জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৫ ঘোষণা করা হবে। সভায় প্রস্তুতকারক খাতেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থায়ন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সাভার শিল্পনগরীতে চামড়া শিল্প কারখানা স্থানান্তরের সময়সীমার ক্ষেত্রে নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বহাল আছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, জুনের মধ্যে কারখানা স্থানান্তর করতে হবে। আর সময় বাড়ানো হবে না।
সভায় শিল্প, বাণিজ্য, জ্বালানি, ভূমি, পরিবেশ, অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মহিলা ও শিশু, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, প্রবাসীকল্যাণ, বিদ্যুৎ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, শ্রম, পর্যটন, শিল্প, কৃষি, বস্ত্র ও পাট, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব উপস্থিত ছিলেন।