রাজশাহীতে দুই লাখ নতুন গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় রাজশাহী অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি সিস্টেম লস কমাতে এক প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৯১৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পে প্রায় দুই লাখ নতুন গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে এবং এতে সিস্টেম লস ৪ শতাংশে নেমে আসবে।
আগামীতে এ অঞ্চলের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ এবং আবাসিক ও শিল্প খাতে নতুন সংযোগ দিতে বিদ্যমান বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার গুণগত মানোয়ন্নন হচ্ছে এ প্রকল্পের লক্ষ্য।
একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান একনেকের ২৩তম এই সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সভায় বিদ্যুৎ খাতসহ মোট পাঁচটি প্রকল্পে এক হাজার ২০৫ কোটি টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোট প্রকল্প ব্যয়ের এক হাজার ১৭০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগার এবং অবশিষ্ট ৩৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থা জোগান দেবে। বিদ্যুৎ বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রাজশাহী অঞ্চল বিদ্যুৎ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ প্রকল্পের মোট ৯১৫ কোটি টাকার মধ্যে সরকার ৮৮০ কোটি পাঁচ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা জোগান দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রায় দুই লাখ নতুন গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে এবং সিস্টেম লস ৪ শতাংশে নেমে আসবে। এ ছাড়া এ অঞ্চলে ২০২৫ সালের মধ্যে আরো পাঁচ লাখ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সঙ্গে ৩৩/১১ কেভি ক্ষমতার ১৬টি নতুন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন, একই ক্ষমতাসম্পন্ন ২৮টি উপকেন্দ্রের সংস্কার ও উন্নয়ন এবং প্রায় ১১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য ৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০-তলা শহীদ শেখ রাসেল আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে ২০১৮ সালের মধ্যেএ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এতে ১৫২টি ফ্ল্যাট থাকবে। বিএনসিসি ভবন ও শিববাড়ীর কাছে এ আবাসিক ভবন নির্মিত হবে।
সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্প হচ্ছে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকায় জামালপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নির্মাণ, ৩৯ কোটি দুই লাখ টাকায় পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, বিস্তার ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি সম্পর্কিত প্রায়োগিক গবেষণা প্রকল্প এবং ১০১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বরিশাল বিভাগ ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প।
সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী এবং সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।